কামরুল হাসান:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় গমের আবাদ দিন দিন কমে যাচ্ছে। পক্ষান্তরে মাঠ পর্যায়ে দিন দিন বেড়েই চলছে ভ‚ট্টার আবাদ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার জিন্দানুর ইসলাম জানান, গত মৌসুমে এ উপজেলায় গমের আবাদ হয়েছিল মোট ৯৫ হেক্টর জমিতে। আর চলতি মৌসুমে গমের আবাদ হয়েছে মোট ১শ’ ৪ হেক্টর জমিতে। অপরদিকে গত মৌসুমে এ উপজেলায় ভ‚ট্টার আবাদ হয়েছিল মোট ২ হাজার ৬শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে। আর চলতি মৌসুমে গমের আবাদ হয়েছে মোট ২ হাজার ৯শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। কামরাবাদ এলাকার কৃষক মনহর আলী জানান, প্রতি বিঘায় ৪-৫ মণের বেশি গম পাওয়া যায় না। অথচ প্রতি বিঘায় ভ‚ট্টা পাওয়া যায় ১২-১৩ মণেরও বেশি। প্রতি মণ গমের দাম ১৩শ’-১৪শ’ টাকা আবার প্রতি মণ ভ‚ট্টার দাম ১২শ’-১৩শ’ টাকা। তারপরও গমের চেয়ে ভ‚ট্টার আবাদে লাভ বেশি। কারন,গমের চেয়ে ভ‚ট্টার ফলন বেশি হওয়ায় আয় বেশি হয়। সাতপোয়া এলাকার কৃষক কেসমত আলী জানান, এক সময় ঘরের ছাউনির কাজের জন্য গমের ডাটার কিছুটা চাহিদা ছিল। এখন আর তার তেমন কদর নেই। পক্ষান্তরে গো-খাদ্যের জন্য ভ‚ট্টার ডাটার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর জীবন চক্রের প্রতিটা ধাপই গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই এটা বিক্রি করে অনেক মুনাফা পাওয়া যায়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মিয়া জানান, হেক্টর প্রতি ৩-৩.৫ টনের বেশি গম উৎপন্ন যায় না। অথচ হেক্টর প্রতি ভ‚ট্টা উৎপন্ন হয় ১০-১০.৫ টনেরও বেশি। প্রতি মণ গমের দামের তুলনায় ভ‚ট্টার দাম কিছুটা কম হলেও ভ‚ট্টার ফলন বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হয়। তাই কৃষকরা গমের চেয়ে ভ‚ট্টার আবাদের প্রতি বেশি ঝুঁকছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ জানান, গমের আবাদের ক্ষেত্রে পরিপক্ব হওয়ার আগে বøাস্ট রোগের আক্রমন ঘটে। এতে গমের শীষ মরে যায়। ফলে এর উৎপাদনও কমে যায়। অপরদিকে ভ‚ট্টার আবাদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক রোগ-বালাই অনেকটা কম হয়। এর ফলনও বেশি হয়, টাকাও আয় হয় বেশি।
কামরুল হাসান