জামালপুর প্রতিনিধি :
জামালপুরের মেলান্দহে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুঁটির সাথে বেধে রেখে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার লুট ও গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নুরনবীগংদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারী) রাত সকালে ও রাতে উপজেলার ঝাউগড়া পয়েরবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মেলান্দহ থানায় ভুক্তভোগী ওই এলাকার মৃত হাসেন আলীর ছেলে মো. হুরমুজ আলী বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
লিখিত ওই অভিযোগে ওই এলাকার মো. সিরাজের ছেলে নুরনবী (৩৫), মৃত হক ডিলারের ছেলে হায়দর (৪০),মৃত নতি শেখের ছেলে জুলহাস (৪৫) এছাড়াও
এবাদুল (২২), সেলিম (৩০), সিরাজ (৬০), ৭। মোছাঃফাতেমা (২৫), মোছা. শেলী (৩০), নুরজাহান (৪০)কে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী হুরমুজ আলীর সাথে প্রতিপক্ষ নুরনবী গংদের সাথে দীর্ঘদিন জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। তাদের বাড়ি দখলের জন্য অনেক আগে থেকেই পায়তারা করে আসছিল। ঘটনার দিন মঙ্গলবার সকালে তার লাগানো ৩০০-৩৫০ টি ইউক্যালেক্টার গাছ কেটে ফেলে। সে সময় ভুক্তভোগী হুরমুজ আলী বাধা দিতে গেলে অভিযুক্তরা মারতে আসে। পরে তার ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ভুক্তভোগীরা যদি পয়েরবাড়ীর মৌজা- দাগ নং- ৫২,৫৩, ইহাতে জমির পরিমাণ-১.৯৯ শতাংশ কাতে ১২ শতাংশ জমি তাদের দখলে না দিলে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ভুক্তভোগী মো. হুরমুজ আলী বলেন, সকালের ঘটনার পরে নুরনবী গংরা রাতে আমাদের বাড়িতে হামলা করে। আমিও বাড়িতে ছিলাম না এসে দেখি আগুন লাগিয়ে দিছে। আমি বাধা দিতে আমাকে খুটির সাথে বেধে রেখে ১৫-২০জন মিলে হত্যার ভয় দেখিয়ে আমার ঘরের বাক্স খুলে বিদেশে থাকা ছেলের জন্য রাখা প্রায় ৫ লাখ টাকাসহ স্বর্ণ অলংকার ও দামী জিনিসপত্র নেয়। পরে আমাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আমায় উদ্ধার করে। আমি আতংকে রয়েছি আবার কখন জানি হামলা করে। এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরনবী ইসলামের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। বক্তব্য জানতে পরিবারের লোকদের বললে তারা কোনো কথা বলেনি।
এ প্রসঙ্গে মেলান্দহ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। একটি লিখিত অভিযোগ ও দিয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।