নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাংবাদিক জালাল উদ্দিনের মায়ের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ।গত ২০২৪ইং, সালের (০২ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার রাত ১০টা ২৫ মিনিটের সময় চিরতরে আমাদের রেখে পরপারে চলে যান। যে সময়টাতে মা তোমাকে সবচেয়ে বেশি দরকার ছিল, ঠিক সেই সময়টাতে মা তুমি আমাকে রেখে চলে গেছো। সকল কাজের প্রেরণা ও উৎসাহের কেন্দ্রস্থল ছিলে একমাত্র তুমি মা। কিভাবে যে তুমি ছাড়া লাইফ থেকে একটি বছর (৩৬৫) দিন কেটে গেল।
২০১৪ইং সালের ডিসেম্বরের ০৫ তারিখ শুক্রবার সকাল ০৮ টার সময় বাবা মারা যাওয়ার পর তুমিই ছিলে ৪ ভাই ও ৩ বোনের একমাত্র সম্বল। আমি কোন জায়গায় বেড়াতে গেলে একটু লেট হলে শুধু ফোনের উপরে ফোন বাবা তুই কখন আসবে বাড়িতে। আর মা আমি বাড়িতে চলে আসার জন্য অনেক কান্নাকাটি করতে, এখন আর কেউ মা তোমার মত কান্নাকাটি করে না। খাবারের টেবিলে খাবার দিলে খাবার খেতে একটু লেট হলে মা তুমি বলতা বাবা সময় মত খাবার খেয়ে নে, নাহলে তোর শরীর খারাপ করবে বাবা, আমি বলতাম মা একটু পরে খুব, তখন মা তুমি বলতা বাবা আমি মরলে তুই বুঝবি। এখন মা হারে হারে বুঝি তুমি কি জিনিস ছেলে মা। আর আমি যেই খাবার বেশি পছন্দ করতাম সেটি স্বল্পতা হলে সেই খাবার আমাকে খাওয়ানোর জন্য, নিজে না খেয়ে আমাকে মিথ্যা বলতে আমি খেয়েছি, তুই খেয়ে নে কিন্তু তখন বুঝতে পারতাম না মা। প্রতিটি দুঃখ ও সুখের মূহুর্তে তোমাকে মিস করি মা।
তুমি বিহীন প্রতিটি দিন ছিল বিষাদময়, প্রতিটি একাকিত্ব সময় ছিল হাহাকার ও অশ্রুসিক্তে ভরা। অনেক রাত ছিল নির্ঘুম ও কাছে না পাওয়ার অতৃপ্ত যন্ত্রণার। খুব ইচ্ছে করে তোমাকে সাথে নিয়ে একটা মুহূর্ত ফিরে পেতে, তোমাকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরতে, মা বলে ডাক দিতে, কিন্তু কিছুই আর হয়ে উঠে না।আজ তুমি হারিয়ে গেছ অনেক দূরে।
বিশ্বাস করো মা আজ পৃথিবীর সব থেকে আমি একা, কারণ মা তুমি নেই, তোমার অভাবে আমার কোন কিছুই ভালো লাগেনা, আমি শুধু জিন্দা লাশ হয়ে পৃথিবীতে আছি। মা তোমার অনুপস্থিতি সবসময় বুকের ভেতর একটা শূন্যতা তৈরি করে, যেটা কোনো কিছুতেই পূর্ণ হয় না। তুমি ছাড়া এই দুনিয়াটা অন্ধকার। তোমায় ছাড়া আমি ভালো নেই মা। আজও দুচোখে ভাসে সেই সাদা কাপড়ে মোড়ানো দৃশ্যটি।
যত দিন যাচ্ছে মা-বাবার শূন্যতা ততই অনুভব হচ্ছে। মা-বাবার অনুপস্থিতি যে তার সন্তানদের জন্য কতটা কষ্ট দায়ক সেটা একমাত্র শুধু যার মা-বাবা নেই সেই বুঝে।
আমার প্রতিটি মোনাজাতে মা-বাবা তোমরা আছো, যত দিন আমি এই পৃথিবীতে বেঁচে আছি। সবাই আমার মায়ের জন্য ও বাবা জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ তাআ’লা যেন আমার মা-বাবা কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন চুম্মা আমিন।