জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুরে ব্যবসায়ীর কেনা জমি জোরপূর্বক দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষএকেএম জয়নুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে। শুধু জমি দখল করেই ক্ষান্ত হয়নি ভুক্তভোগীর পরিবারটি প্রাণের হুমকিতে পড়েছেন। এমন অভিযোগ করেছেন জামালপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ব্যবসায়ীর ভাতিজা জনির বিরুদ্ধে ।
গত শনিবার ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের বাগের হাটা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারী) ৪জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানা সাধারণ ডায়েরী করেছেন একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাস।
অভিযুক্তরা হলেন, জামালপুর পৌর শহরের মুসলিমাবাদ (সিংজানী হাইস্কুল রোড) এলাকার একেএম জহুরুল ইসলামের ছেলে একেএম জয়নুল ইসলাম জনি, শহরের বাগেরহাটা এলাকার মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে মো.টনি, শহরের মুসলিমাবাদ (সিংজানী হাইস্কুল রোড) এলাকার একেএম জহুরুল ইসলামের স্ত্রী সালমা ইসলাম ও মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে একেএম তৌফকুল ইসলাম তসলিম। রোববার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে একেএম জয়নুল ইসলাম জনি বলেন, ‘জমি দখলচেষ্টার প্রশ্নই ওঠে না, আগে থেকেই ওই জায়গা আমাদের দখলে রয়েছে। তাহলে আমারা জায়গা দখলের চেষ্টা করবো কি জন্য। তাঁর যদি জমি পেয়ে থাকে তাহলে ছেড়ে দিবো। এইটা তো আদালতে বিষয়।
ভুক্তভোগী একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাসের অভিযোগ, সম্প্রতি সিংহজানী মৌজার এসএ-৪৩ নম্বর, বিআরএস-৮৭০নম্বর খতিয়ান। এসএ ৬৯৫৮ ও ৯৪৪০ নম্বর দাগ, বিআরএস ১৫২৬৯ ও ১৫২৯৫ নম্বর দাগে ৩৬ শতাংশ ভুমি। আমাদের কেনা দখলীয় এ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধের জেরধরে প্রভাবশালী জনি নানাভাবে আমাদের ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করে আসছে। ঘটনার দিন আমাদের স্বত্বদখলীয় ওই জমিতে অর্থাৎ ঘটনাস্থলে গেলে জনি দলবল নিয়ে আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে বলেন, যদি জানে বাঁচতে চাস, তাহলে এখান থেকে চলে যায়। আমরা তোদেরকে এই জমিতে আর কোনো দিন আসতে দিবো না। প্রয়োজনে তোদেরকে লাশ বানিয়ে শিয়াল-কুকুর দিয়ে খাওয়াবো। পরে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি ভেবে গত বৃহস্পতিবার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি।
একেএম শফিকুল ইসলাম জুলহাস অভিযোগ করে বলেন,কিছুদিন ধরে তারা আমাদের কেনা সম্পত্তি নিয়ে নেওয়ার জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। এর মধ্যে ওইদিন সকালে প্রভাবশালী জনির নেতৃত্বে আমাকে জমিতে ঢুকতে দিবে না ও হত্যার হুমকি দেয়। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার ব্যাংক লোন রয়েছে, জমি বিক্রি করে লোন পরিশোধ করবো। এখন জমিটা বিক্রি করতে পারছি না। তিনি তার ক্রয়কৃত জমি ফেরত পেতে এক প্রশাসনে সহায়তা কামনা করেছেন।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো.আতিক বলেন, ব্যবসায়ী জুলহাস থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।