কামরুল হাসান ঃ
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের ছোনটিয়া সাধুরপাড়ায় ও ছোনটিয়া মোড়ে মেলাতে বিভিন্ন খেলার আয়োজন ছিল। পাশাপাশি মেলার টাকা নিয়ে আয়োজকদের মধ্যে ঠেলাঠেলির ঘটনাও ঘটেছে।
জানা যায়,ছোনটিয়া সাধুরপাড়ায় গত ২৯ ডিসেম্বর ঘোড় দৌড় উপলক্ষে এক দিনের মেলার আয়োজন থাকলেও চলে দুই দিন। মেলায় ঘোড়ার দৌড়ের পাশাপাশি রাতে ছিল নাটকসহ বিভিন্ন খেলারও আয়োজন। বিশেষ করে ‘খাঁচার মধ্যে কোড়ার ছাও’ এ খেলাটিই ছিল মূল উপজীব্য বিষয়। ঘোড় দৌড়ের বিজয়ীদের পুরস্কার কেনার জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদার টাকার হিসাবে গড়মিল দেখা দেয়। খোদ মেলার সার্বিক ত¦ত্ত¡াবধায়ক নিজেই অনেক টাকার গড়মিল হিসাব দিয়েছেন। এ নিয়ে আয়োজকদের মধ্যে ঠেলাঠেলির ঘটনা ঘটে। এ মেলার সার্বিক ত¦ত্ত¡াবধায়ক ছিলেন তোতা মিয়া। তাকে সহযোগিতা করেন সোহেল পেইদা। অপর দিকে ছোনটিয়া মোড়ে তিন দিন ব্যাপি ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা ও পিঠা উৎসব ১৯ জানুয়ারী শুরু হয়। চলে ২১ জানুয়ারী পর্যন্ত। মেলা পরিচালনায় ছিলেন এখলাছুর রহমান উকুল তালুকদার। তাকে সহযোগিতা করেন সেলিম হোসেন।
উল্লেখ্য, মেলায় বিভিন্ন ধরনের স্টল/ দোকান লক্ষ্য করা গেছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পুলির দোকানের পাশাপাশি সৌখিন চায়ের আড্ডা থেকে তরিতরকারী মাছ ও বিভিন্ন ধরনের খাবার, খেলনা ও কসমেটিক্সসহ প্রসাধনীর দোকান বসে। এছাড়া নানা রকমের রাইডের পাশাপাশি নজর কেড়েছে রনপায় হাটা। গ্রামীন খেলাধুলা ছাড়া মেলার কথা ভাবাই যায় না। দর্শকদের আনন্দের জন্য লাঠি খেলা, হা-ডু-ডু, রশি টানাটানি, বল নিক্ষেপ, চুড়ি ছুড়া, লক্ষ্য ভেদ ও বাঘ বন্দিসহ নানান খেলার আয়োজন করা হয়। লক্ষ্য ভেদ ও বাঘ বন্দি খেলা চলে মেলার দ্বিতীয় রাতে। খেলা দুটিতেই ৪:২ আনুপাতিক খেলোয়াড় অংশ নেয়। বিনোদনের জন্য নাটকের পাশাপাশি পুতুল নাচের ব্যবস্থাও ছিল। মাটির পুতুলের পাশাপাশি স্পঞ্জ, ককশীট, কাপড়ের ও জীবন্ত পুতুলের নাচে দর্শকরা বিমোহিত। সময়ের সাথে তাল মিলাতে অর্থাৎ দর্শকদের চাহিদা অনুযায়ী নাচেরও রকমফের ছিল। মেলায় কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে মেলা কমিটির পক্ষ থেকে ভলেন্টিয়াররা নজরদারি করেন। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহলও ছিল। এ মেলায় আয় হয় ১ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। আর ব্যয় হয় ২ লক্ষ ১৭ হাজার টাকা। এছাড়া জমি চাষ ও অনান্য খরচতো ছিলই। এ নিয়ে আয়োজকবৃন্দের মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছিল।