কামরুল হাসান:
আজকের বিষয়-গরু চুরি। শিরোনাম-‘মধ্য স্বত্ত¡াভোগীদের তেলেমধ্যসমাতি, গরু চুরির ঘটনা গড়ালো কিস্সায়।’ শিরোনাম বিশ্লেষনে পাওয়া যায়Ñমধ্য মানে মাঝে বা মাঝখানে। স্বত্ত¡া মানে ব্যক্তি বা মানুষ। ভোগী হলো যারা ভোগ করে বা সুবিধা লাভ করে। তেলেসমাতি মানে কেরামতি বা বাহাদুরি। ঘটনা মানে কাহিনী আর কিস্সা হলো গল্প। গরু চুরির ঘটনা মধ্য স্বত্ত¡াভোগীদের তেলেসমাতিতে শেষ নাগাদ কিস্সায় গড়ালো।
রোকন মিয়া একজন প্রান্তিক কৃষক। বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার তিতপল্লা ইউনিয়নের চক পাড়ায়। এইতো শনিবার রাতে তার দুইটি গাভীন গরু ও একটি বাছুর চুরি হয়। ভোরে তিতপল্লা দক্ষিন পাড়ার শিমুলতলী এলাকায় একটি গাভীন গরু আর আলতাব মেম্বারের বাড়ির পাশে বাছুরটি পাওয়া যায়। অবশিষ্ট গাভীন গরুটি খুঁজতে গিয়ে সেটির চামড়া মেলে সুরেশ রবিদাসের বাড়ি। বর্ণানুযায়ী ব্যবসার সুবাদে চামড়াটি কিনেছেন তিনি। সুরেশ ওই এলাকার ঘোড়া (ডাক নাম) রবিদাসের ছেলে। তিনি তিতপল্লা ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত একজন গ্রাম পুলিশও। দায়িত্বানুসারে যিনি জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা-রক্ষার কাজে নিয়োজিত। অপরদিকে তিনি একজন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারি তাই জনগনের সেবক। চামড়ার সূত্র ধরেই চোরাই গরুটির গোশত মেলে কামাল খান মোড়ের শাহীনের দোকানে। শাহীন তিতপল্লা সাইতানী গ্রামের আনার আলীর ছেলে। তিনি গা ঢাকা দেয়ায় তার কর্মচারী ছানু মিয়াকে আটক করে জনতা। ছানু মিয়া নারায়নপুর চইরা পাড়ার মকবুল হোসেন ওরফে খুশু বাপের ছেলে। খবর পেয়ে নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে কর্মচারী ছানু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। অবিক্রিত গোশত জব্দ করে স্থানীয় লোকের জিম্মায় রাখেন। পরে ছানুকে জামালপুরে নিয়ে যান ওই পুলিশ কর্মকর্তা। উক্ত বিষয়ে অনুসন্ধানকালে স্থানীয়দের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে তিতপল্লা চকপাড়া গ্রামের হযরত আলীর ছেলে খোকা মিয়া ও দুলাল মিয়ার ছেলে এরশাদ আলীর নাম। তারই নাকি ঘটনার মূলহোতা এমন কথাই বাতাসে ওড়ে বেড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, জবাইকৃত গরুটির পেটে বাছুর পাওয়া গেছে। সকালে ঘটনা জানা-জানি হলে, স্থানীয় সামসুল হক নামে এক মধ্যস্থতাকারী বিষয়টি সুরহার জন্য গরুর মালিক পক্ষের সাথে কথাও বলেন বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ পেয়েছে। রোববার সকালের পর থেকেই মধ্যস্থতাকারীর ব্যবহৃত ব্যক্তিগত ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। নারায়নপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল থেকে কর্মচারী ছানু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেন। পরে তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য জামালপুরে নিয়ে যান। ছানু রাতে পুলিশ হেফাজতেই ছিল বলেও জানান তিনি। তবে গরুর মালিক অভিযোগ দিতে নারাজ। অফিসার ইনচার্জ লুৎফর রহমান জানান, অভিযোগ না পেলে তাদের কিছু করার নেই। অতএব, ঙ-এ গ-এ অঙঅ!