
নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাচাতো ভাইকে প্রকাশে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী আপেল ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা।

oppo_1024
বিপুলের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
সকাল সারে ১১ টায় তারাকান্দি চৌরাস্তার মোরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিছুর রহমান এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সরিষাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ চাঁদ মিয়া, বক্তব্য রাখেন সরিষাবাড়ি উপজেলা বিএনপির সদস্য রাশেদুজ্জামান লিটন, বক্তব্য রাখেন পোগলদিঘা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাছির উদ্দীন, বক্তব্য রাখেন পোগলদিঘা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরওয়ার হোসেন, তারাকান্দি ঈদগাঁ মাঠের সভাপতি আলহাজ্ব রজব আলী, এলাকার বিশিষ্ট ঔষধ ব্যবসায়ী সাইদ হোসেন বাচ্চু, আকবর আলী,বিপুলের বাসা কালু তালুকদার,মোজ্জামেলহক মুজা, মাসুদ মিয়া আব্দুল হালিম,ফয়সাল, ফজলুল হক, মোবারক আলী,সহ এলাকা গন্যমান্য ব্যক্তবর্গ

oppo_1024
মানববন্ধনে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের জনগণ। গত ১৭ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় তারাকান্দি পশ্চিম পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ওরফে কালু তালুকদারের ছেলে আতাউর রহমান বিপুল তালুকদার (৪০) কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসী আপেল ও তার সহযোগীরা । গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে সরিষাবাড়ি,, পরে ময়মনসিংহ সেখানে চিকিৎসার কোন উন্নতি না হলে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে বিপুলের স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫) ও বিপুলের আছমা বেগম(৬০)
এ ঘটনায় ইতিমধ্যে ৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি।
ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকা বাসীর দাবী সন্ত্রাসী আপেল তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার দ্রুত আইনের মাধ্যমে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , শুক্রবার ১৭ জানুয়ারী সকালে সীমানার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মৃত তোতা তালুকদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সাথে কিছু দিন আগে বিবাদ হয় বিপুলের। তারপর থেকে মৃত তোতা তালুকদারের ছেলে আসাদুজ্জামান আপেল তালুকদার পরিকল্পনা করে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ডেকে এনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত বিপুল ও তার স্ত্রীর উপর হামলা করে। এ সময় বিপুলের ডান হাত ও ডান পা কুপিয়ে কেটে ফেলে এবং তার স্ত্রী মুক্তার ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল ও বাম পায়ের রগ কেটে ফেলে। এই দেখে বিপুলের মা আছমা বেগম ফিরাতে গেলে তারও একটি হাত ভেঙে ফেলে।
এলাকাবাসীর ডাক চিৎকারে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন সন্ত্রাসী আপেল তার সহযোগীরা। ঘটনার খবর পেয়ে তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও পরে সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সৌরভ বাবু জানান, মারামারি চলাকালীন সময় আহতদের ডাক চিৎকারে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি বিপুলের হাত ও পা দ্বিখন্ডিত হয়ে মাটিতে পড়ে আছে এবং বিপুলের স্ত্রী মুক্তার হাতের আঙ্গুল ও পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। এ সময় তাদের হাতে ধারালো অস্ত্র থাকায় কেউ তাদের কাছে ভিড়তে পারেনি। পরে আমি মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং করে লোকজনকে ডেকে আনি। সন্ত্রাসীরা ছুটে আসা লোকজন দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী দাবী আপেলের নেতৃত্বে তার দুই বোন তুহিনা ও শাহানা বেগম এবং দুই ভাগিনা রাব্বি ও জীবনসহ বহিরাগত ১০/১২ জন সন্ত্রাসীদের ডেকে এনে প্রকাশ্য দিবালোকে বিপুলকে কুপিয়ে নিশংসভাবে হত্যা করেছে।এই সন্ত্রাসীদের এমন শাস্তি ব্যবস্থা করা হোক যাহাতে আর কোন লোক এমন ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ চাঁদ মিয়া বলেন, আমি নিজেই মানববন্ধনে গিয়ে ছিলাম এ ঘটনায় ৫ জন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে