নিজস্ব প্রতিবেদক
এশিয়া মহাদেশের প্রখ্যাত সুফি সাধক, গ্রন্থকার, কবি-সাহিত্যিক, হজরতুল্লামা শাহ সুফি খাজা মুহাম্মদ ছাইফ উদ্দীন নক্সবন্দি-মোজাদ্দেদী এনায়েতপুরী-শম্ভগঞ্জী (রহ.)’র স্মরণে ‘এশকে পাক পাঞ্জেতন জাকের সংঘ’ এর উদ্যোগে নেত্রকোনার হিরণপুর গ্রামে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, আধ্যাত্মবিদ এবং লালকুটি পাক দরবার শরীফের গদীনসিন পীর,
হজরত মাওলানা শাহ সুফি খাজা মুহাম্মদ সূজাউদ্দৌলা (মা.জি.আ.)-এর সভাপতিত্বে ইসলামী মহা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে খাজা মুহাম্মদ সূজাউদ্দৌলা (মা.জি.আ.) বলেন, আল্লাহ পাক অসীম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। তাওবা- আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় একটি জিনিস। বান্দা যখন তাওবা করে আল্লাহ পাক বান্দার প্রতি রাজি হয়ে যান। আমাদের উচিত, নামাজ শেষ করে তাওবা পাঠ করা। যাতে আমরা ইহকাল ও পরকালের সফলতা অর্জন করতে পারি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও মরমী কবি, বিনয়ের সম্রাট, হজরত মাওলানা শাহ সুফি খাজা মুহাম্মদ আলাউল হক অলি (মা.জি.আ.)।
প্রধান অতিথির বক্তব্য খাজা মুহাম্মদ আলাউল হক অলি (মা.জি.আ.) কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি অন্যতম দিক হলো, সৃষ্টির প্রেম। যার মধ্যে সৃষ্টির প্রেম নেই, সে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত। আমাদের উচিত, সৃষ্টিকে ভালবাসা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে পশুপাখি এবং গাছপালার প্রতি যত্নবান হওয়া। সর্বোপরি- আল্লাহ ও রাসূল (দ.)-এর প্রেমে নিজকে উৎস্বর্গিত করা।
বাইনজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক- মেহেদী মাসুদ মুজাদ্দেদীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট গুণীজন। আয়োজক কমিটির পক্ষ হতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ও সাধক পুরুষ- মুহাম্মদ গোলাম মাওলা হিরণপুরী। কুরআন পাঠ, বয়ান, জিকির আজকার, মারিফতি কালাম, তাবারুক বিতরণসহ নানান কর্মসূচির মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়।