কামরুল হাসান:
পারুল এখন আর পারুল নেই। তিনি এখন বিবি সেজেছেন। স¦ভাবতই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে-কে এই পারুল? তিনি জামালপুর সদর উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বিয়ারা গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী ওরফে পÐিত মোল্লার বড় মেয়ে। আর হাবিবুর রহমান হবি মোল্লার ভাতিজি।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি ও তার পরিবারের সবাই খুবই লোভী প্রকৃতির লোক। মাধ্যমিকে পড়াকালে পাশের বাড়ির এক সরকারী চাকুরীজীবি যুবকের পথ আগলে বেকায়দায় ফেলেন। ওই যুবক নিজের মান-সম্মান ও চাকরী বাচাতে এক রকম বাধ্য হয়েই ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দেন তাকে। জরিমানার টাকায় বড়করে একটি টিনের ঘর বানান তার বাবা। এলাকায় এ নিয়ে নানা কথা উড়তে থাকে। তাই মাধ্যমিক স্কুল শেষ করার আগেই পারুলের লেখাপড়ার পাঠ চুকে যায়। পরে তাড়াহুড়া করে তাকে জামালপুর শহরে এক ছেলের সাথে বিয়ে দেয়া হয়। বেশ কয়েক বছর আগে তার স্বামী এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। অতঃপর তার শ^শুর বাড়ি থেকে ওয়ারিশ হিসেবে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পান তিনি। কিন্তু সেই টাকাও জলে চলে যায়। কারন হিসেবে তার আপন জনদের নিকট থেকে জানা যায়, তার শ^শুর বাড়ির দিকের এক পরিচিত যুবক বিয়ের প্রলোভনে আড়াই লাখ টাকাই হাতিয়ে নেয়। অথচ বিবাহ বহির্ভুত প্রায় ৪ মাস ওই যুবকের সাথে ঢাকায় অবস্থানও করেছিলেন তিনি। অবশেষে তিনি ফের জামালপুর শহরে আরেক লোকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু বিধি বাম! কিছু দিন আগে সে স্বামীও মারা গেছেন। এখন সৎ পুত্রের সংসারে অবস্থান করে বিবি সেজে ঘুরছেন-ফিরছেন। আবার কার নিকট থেকে বড় অঙ্কের দাও মারা যায় তার উপায় খুঁজছেন।