রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:মোঃ মাসুদ রানা তুষার ঃ
রাজশাহী জেলা দুর্গাপুর থানার আয়েশা বেগম (৩০) নামের এক নারী মুদি দোকানীর কানের স্বর্ণের দুল ছিড়ে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার পারিলা গ্রামের রফিক হোসেনের ছেলে রাসেদ (২৬) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১১ টার সময় উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের পারিলা গ্রামে ঘটে এই ঘটনা। ভুক্তভোগী নারী মুদি দোকানী আয়েশা বেগম পারিলা গ্রামের উজ্জ্বল হোসেন মৃধার স্ত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, পারিলা গ্রামের ফাকুড় মোড়ে অবস্থিত মুদি দোকানী আয়েশা বেগম প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালে দোকান খুলে। এ সময় রাসেদ ধুমপান করার জন্য ইস্টার সিগারেট নিতে দোকানে আসে। দোকানী ইস্টার সিগারেট চলমান দামের চেয়ে ১ টাকা বেশি চায়। এতেই ক্ষিপ্ত হয় রাসেদ। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাসেদ ওই নারী মুদি দোকানীকে মারধর করে এবং ওই নারীর কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগী আয়েশা বেগম বলেন, ইস্টার সিগারেট চলমান দামের থেকে পাইকারীতে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই ৯ টাকা করে বিক্রি করছি আজ সোমবার সকালে রাসেদ আমার দোকানে সিগারেট নিতে আসলে আমি তার কাছ থেকেও ৯ টাকা চাই। আর এতেই সে আমার ওপরে চড়াও হয় । আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমি নিষেধ করলে আমাকে মারধর করে এবং আমার কান ছিড়ে স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নেয়। এতে কান থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্ত পড়তে থাকে। আমার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে রাসেদ আমার দোকান উচ্ছেদ করা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
মুদি দোকানী আয়েশা বেগমের স্বামী উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীকে মারধরের খবর পেয়ে আমি দোকানে আসি এবং আমার স্ত্রীকে আহত অবস্থায় দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ডাক্তার আমার স্ত্রীর কানে ৪ টি সেলাই দেন এবং ওষুধ লিখে দেন। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসা শেষে আমাদের নিরাপত্তা ও আমার স্ত্রীকে মারধরের বিচার চেয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।