কামরুল হাসান:
বর্তমান ডিজিটাল যুগে এসে মানুষ খুবই কর্ম ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। যেন দম ফেলার মতো একটু সময় নেই। পিছনে ফিরে তাকানোর আর সময় কোথায় তাদের! কেবল মাত্র সামনের দিকে চলা। শুধু চলছে তো চলছেই। মনে হয় ব্যাপারটা এমন- কে কাকে পেছনে ফেলে রেখে সামনে এগুবে যেন এ প্রতিযোগিতায় নেমেছে সবাই। ঠিক যেন কবি গুরুর ‘বলাকা’ কবিতার ভাব-বিষয়ের মতো। অর্থাৎ কেবলই গতি তথা গতিময়তার বন্ধনা। সেহেতু মানুষ এখন এক জায়গা আরেক জায়গায় শুধু শট-কাট যেতে চায়। তাই আর দিগপাইত-জামালপুর-নান্দিনা হয়ে চেঁচুয়াবাজার পেরিয়ে মুক্তাগাছা পর্যন্ত অথবা দিগপাইত-ধনবাড়ী-মধুপুর হয়ে রসুলপুরবাজার পেরিয়ে মুক্তাগাছা পর্যন্ত যেতে চাচ্ছেনা। কারন-এতে তাদের অনেক ঘুরে-ফিরে যেতে বেশ সময় লাগে। সুতরাং, দিগপাইত-রশিদপুর চৌরাস্তা-চাঁদপুরবাজার-রামনগর-কালিকুড়ি-চেঁচুয়াবাজার হয়ে মুক্তাগাছা পর্যন্ত একটি বাইপাস রাস্তার খুবই প্রয়োজন। যদি তা করা যায়, তাহলে-দিগপাইত হতে মুক্তাগাছা পর্যন্ত যেতে কমপক্ষে ৪০ মিনিট সময় বাচবে। অর্থাৎ ৪০ মিনিট সময় কম লাগবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো-৪০ মিনিট সময়ের ব্যবধানে শুভ-অশুভ অনেক কিছুই ঘটতে পারে। প্রয়োজনে অনেক সময় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর এবং জামালপুরের সদর, ইসলামপুর, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী ও মেলান্দহের অনেক মুমূর্ষু রোগীকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সে ক্ষেত্রে ৪০ মিনিট সময় কম লাগলে যেমন একজন মুমূর্ষু রোগী বেঁচে যেতে পারে। আবার ৪০ মিনিট সময় বেশি লাগলে ঠিক তেমন একজন মুমূর্ষু রোগী মারাও যেতে পারে। এ যুক্তিটি এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রেই সমান প্রযোজ্য। ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের নিকট যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। অতএব, জনগুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এমনটাই সচেতন মহলের কাম্য।
(লেখক: কামরুল হাসান-সাংবাদিক, ফিচার ও কলাম লেখক)