1. news@www.dailyjamalpursangbad24.com : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.dailyjamalpursangbad24.com : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.dailyjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪ :
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সৎপুর দারুল হাদিস মাদ্রাসার সাবেক ওস্তাদুল মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা আব্দুল হাই আর নেই নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক সাদেকুল, সদস্য সচিব বেলাল নরসিংদীর রায়পুরায় ইউএনও, এসিল্যান্ড ও আনসারকে লক্ষ্য করে গুলি। হরিলুটের বাতাস মধুপুরে মিলছে না শিশু সুরক্ষা টিকা হতাশায় শিশুর অভিভাবক  ভালুকায় যাতায়াতের রাস্তায় পতিবন্ধকতার অভিযোগ  চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে কঠোর পদক্ষেপ নিন : সরকারকে বাংলাদেশ ন্যাপ দোয়ারাবাজারে হতদরিদ্রদের নাঝে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ ছাতকের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি নুনু’’র’’ সাথে যুক্তরাজ্যে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় মনোহর আলী নূরানী কিন্ডারগার্টেন এর সবক প্রদান ও নবীন বরন অনুষ্ঠান সম্পন্ন

৩ জানুয়ারি খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) ১১০তম ওরশ শুরু

দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪
  • প্রকাশিত: বুধবার, ১ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৩ বার পড়া হয়েছে

 

মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া নিজস্ব প্রতিবেদক 

ইসলাম প্রচারে অবিসংবাদিত নেতা উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুফি সাধক ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সত্য তরিকার ধারক, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের হযরত শাহ সুফী খাজা বাবা শাহ মোহাম্মদ ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (কু. ছা. আ.) জামানার গাউসল আজম ও মোজাদ্দেদ।

 

তার পবিত্র দরবার বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফ হতে ভারতের আসাম ও বাংলাদেশে ইসলামের শান্তির বাণী তিনি আমৃত্যু প্রচার ও প্রসার করেছেন। পাশাপাশি ইসলামের ধর্মীয় বিধান মেনে সকল পাপাচার পরিহার, নৈতিকতা নিয়ে জীবন যাপন সহ মানবতার কল্যাণে নিবেদিত হতে অল্প নিন্দা ও অল্প আহারের দীক্ষা দিতেন তার কোটি ভক্ত অনুসারীকে।

খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর দেখানো আদর্শের এ পথ ভারত-বাংলায় নেজবতে প্রায় বারো শত বা সাড়ে বারো শত খানকাহ হতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর শান্তির ‘আল্লাহু আকবার’ ঝান্ডার বানী সমগ্র পৃথিবীতে প্রচার করছেন। তার অনুসারী খেলাফত প্রাপ্ত দরবার শরীফে খাজা বাবার নামানুসারেই তা প্রচার করে আসছেন দীর্ঘকাল ধরে।
উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক সুফী সাধক, ওলিয়ে-কামেল সিরাজগঞ্জ হযরত শাহ সুফী খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ)-এর ২০২৫ সালে ১১০তম ওরশ আগামী ৩রা জানুয়ারী শুক্রবার হতে শুরু হবে। ৫ জানুয়ারী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।

৩ দিন ব্যাপি বাৎসরিক শুক্রবার বাদ জুমা খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) মাজার জিয়ারতসহ ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর সত্য তরিকার আল্লাহ আকবার লেখা ঝান্ডা উড়িয়ে ঐতিহ্যের বাৎসরিক ১১০ তম ওরশ শুরু হবে। যাহার ফলে দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন গ্রহন করেছে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা।
সুফি সাধক পিড়ানে পীর দস্তগীর খাজা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রঃ) এর পরিবার ছিলেন মুলত ছিলেন ইয়েমেনের ফাতেমী বংশধর। অর্থাৎ আওলাদে রাসুল বা সৈয়দ। একই ভাবে মাতৃকুল ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ) এর বংশের। তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্যই তাদের আগমন। তার পঞ্চম পুর্ব পুরুষ হযরত শাহ দায়েম (রঃ) ইয়েমেন থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য ভারতবর্ষে আসেন। খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) এর বাবা শাহ আব্দুল করিম (রঃ), মাতা-তাহমিনা বেগম (রঃ) এর ২ ছেলে ১ মেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ১৮৮৬ সালের বাংলা ১২৯৩ বঙ্গাদ্বের ২১ শে কার্তিক সুবেহ সাদেক জন্মগ্রহন করেন। ২০১৭ সালে খাজা এনায়েতপুরী (রঃ) এর জীবনী নিয়ে লেখা একটি বইতে উল্লেখ করা হয়, মুলত তিনি ছিলেন তার আবির্ভাবের পুর্ববর্তী সময়কালের ওলী গনের ভবিষ্যদ্বাণীকৃত এই আখেরী জামানার ‘মহান ইমাম বা প্রতিশ্রুত মোজাদ্দেদ’।

সৈয়দ ওয়াজেদ আলী মেহেদীবাগী (রঃ) এর শান্তি ও আদর্শের পথে ইসলাম প্রচারে ভোগ বিলাসী জীবনের বিরোধী এই মহামানব ইসলাম ও সুফীবাদের দর্শন ভারতের আসাম সহ সাড়া বাংলায় প্রচারে ২৪ লাখ মুরিদ ও খেলাফত প্রাপ্ত ৫৬ জন খলিফাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হিসেবে খেতাব প্রাপ্ত হন। কিছুদিন অতিবাহিত হলে নিজ ভুম সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে খানকা স্থাপন করে শুরু করেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর শান্তির তরিকা প্রচার এবং আদর্শের সুফী বাদের বিস্তার।
পাশাপাশি এনায়েতপুরেই তিনি বিয়ে করে শুরু করেন সংসার জীবন। ৮ কন্যা এবং ৫ ছেলে সন্তানের জনক হন। পরবর্তীতে সমগ্র বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের আসামে সফর করে ইসলাম ও সুফীবাদ প্রচার কাজ তরান্বিত করেন। প্রথমত অসুস্থ্যবস্থায় সহযোগীদের নিয়ে ময়মনসিংহ গিয়ে ইসলামের মর্মবানী প্রচার করলে ১৭ জন আকৃষ্ট হন। পাশাপাশি সমাজসেবা মুলক কাজেও রেখেছিলেন অনন্য অবদান। শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান সহ যেকোন প্রয়োজনে অসহায় মানুষের সেবায় নিবেদিত থাকায় খাজা এনায়েতপুরীকে ভক্তবৃন্দ সুলতানুল আউলিয়া এবং চিরস্থায়ী সংস্কারের জন্য “আখেরী মুজাদ্দেদ” বলে অভিহত করেন।

এরপর ১৯১৫ সালে তার আত্বীয় ও অনুসারীদের পরামর্শ ও সহযোগীতায় এনায়েতপুর দরবারে ওরশ শুরু হলে ধীরে-ধীরে অগনিত ভক্তদের আগমনে মহাসমাবেশে রুপ নেয়। এরই এক পর্যায়ে তার সংস্পর্শে এসে আদর্শিক আলোর পথের দিশারী হিসেবে ১২শ পীর আওলীয়া খেলাফত প্রাপ্ত হন। এর মধ্যে ময়মনসিংহের খাজা মোহাম্মদ ছাইফুদ্দীন শম্ভুগঞ্জী পীর, ফরিদপুরের সদরপুরের প্রখ্যাত হযরত মাওলানা শাহসূফী খাজা মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ ফরিদপুরী আটরশি পীর, মাওলানা সৈয়দ আবুল ফজল সুলতান আহম্মেদ চন্দ্রপুরী চন্দ্রপাড়া পীর, টাঙ্গাইল মাওলানা মকিম উদ্দিন প্যারাডাইজ পাড়া, কুমিল্লার ইসলামাবাদ, জামালপুরের সাধুরপাড়া মোসলেম নগর, যশোরের ঘুনী দরবার শরীফ, ভারতের আসামের গণি খলিফার দরবার শরীফ অন্যতম। তারা একই ভাবে খাজা ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (রঃ) সুফী বাদের আদর্শ ও ইসলাম প্রচার করছেন।

ওরশ শরীফের আয়োজনের সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে’ বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফকে সাজানো হচ্ছে অনন্য সাজে নানা ফুলের সৌরভে। সয়দাবাদ-বেলকুচি-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কে, খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গেইটসহ মাজারে প্রবেশ পথে করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ ও দরবারে প্রবেশ মুখে প্রায় ২ কিলোমটার জুড়ে আলোকসজ্জার কাজ। চলছে ওযু-গোসলের জন্য পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, খাবার মাঠ সংস্কার। সু-বিশাল খাবার মাঠটিতে হাজার হাজার জাকের একসাথে খেতে পারবে। এখানে ২০ ঘন্টাই থাকবে খাবারের সব আয়োজন, এছাড়া পাকশালার প্রসস্থতাও বাড়ানো হয়েছে। ৪টি পাকশালায় ২০০টির মত চুলায় চলবে সর্বক্ষন রান্নার কাজ। এতে ৫ শতাধীক বাবুর্চি স্বেচ্ছাশ্রমে রান্নার কাজে নিয়োজিত থাকবে প্রতিক্ষণ। খাবার পরিবেশনে লক্ষাধিক মাটির থালার সানকি রাখা হয়েছে প্রস্তুত।

এছাড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ হতেও গ্রহন করা হয়েছে নানা নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দরবারের ২ শতাধিক চৌকষ মোজাদেদ্দীয়া আনসারসহ অন্তত ১৫ হাজারের মত মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকবেন। বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফের ৫টি প্রবেশ পথে। দরবার শরীফ কর্তৃপক্ষের মুরাদ আহমেদ খান, লিটন সরকার জানান জানান, মিলাদ-দোয়া মহাফিল, হামদ-নাত, গজল, জিকির-ধর্মীয় আলোচনার এ ওরশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে বিশেষ নির্দেশনা গ্রহণ করা হয়েছে।

গত ১৯১৫ সাল থেকে শুরু বাৎসরিক ওরশ এবার ১১০তম বছর পার করবে। আগামী ৩ জানুয়ারি হতে শুরু ৩ দিন ব্যাপী এই ঐতিহাসিক ওরশে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ভারতের আসাম থেকে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক জাকেরের সমাবেশ ঘঠবে। বসবে ১১০তম ঐতিহ্যের মেলা।প্রতি বছর “বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল” এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফে বাৎসরিক পরম পবিত্র ওরছ শরীফ উদযাপিত হয়। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও পরম পবিত্র ওরছ শরীফ আগামী ২১শে পৌষ ১৪৩১ বাংলা, ৪ই রজব ১৪৪৬ হিজরী, ৫ই জানুয়ারি ২০২৫ ই; রোজ রবিবার সমগ্র বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত লক্ষ লক্ষ আশেকান ও জাকেরানদের উপস্থিতিতে সকাল দশ ঘটিকায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পরম পবিত্র ওরস শরীফ ২০২৫ ইং এর সমাপ্তি ঘটবে। পরম পবিত্র ওরস শরীফ ২০২৫ ইং এর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন খাজা শাহ মোঃ ইউনুস আলী এনায়েতপুরী (রহঃ) এর ৩য় সাহেবজাদা ও “বিশ্ব শান্তি মঞ্জিল” এনায়েতপুর পাক দরবার শরীফের সাজ্জাদান-নশীন হযরত মাওলানা শাহসূফী খাজা শাহ্ মোঃ কামাল উদ্দিন নুহু মিয়া এনায়েতপুরী নক্সবন্দী-মোজাদ্দেদী (মা.জি.আ.)।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট