কামরুল হাসান:
‘সরিষা পাট আর গরুর গাড়ি, এ তিনে মিলে সরিষাবাড়ী।’ দেশের বৃহৎ নদী যমুনা ও তার
শাখা-উপশাখা বিধৌত পলল গঠিত উর্বর এ অঞ্চলে অনেক আগে থেকেই বিস্তর সরিষা ও পাট উৎপাদন হতো।
তখনকার দিনের অনুন্নত রাস্তা-ঘাটে উৎপাদিত পণ্য-শস্য ছাড়াও অন্যান্য জিনিসপত্র পরিবহনে ‘গরুর গাড়িই’
একমাত্র ভরসা ছিল। সে সময় থেকেই উক্ত প্রবাদটি এ জনপদের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সবার মুখে মুখে শোনা
যাচ্ছে। অবশ্য কালের আবর্তনের ফলে বর্তমানে উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে পরিবহনেও
অধুনিকতা এসেছে। তাই আগের মতো ব্যাপক হারে গরুর গাড়ি চোখে না পড়লেও এখনও কিšদ এ অঞ্চলে
প্রচুর সরিষা ও পাট উৎপন্ন হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি সমপ্রসারন বিভাগের তথ্য মোতাবেক এ বছর উপজেলার
বিভিন্ন স্থানে ৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে নানা জাতের সরিষার আবাদ হয়েছে। উল্লেখ্য, একটি পৌরসভা ও
সাতপোয়া, পোগলদিঘা, ডোয়াইল, আওনা, পিংনা, ভাটারা, কামরাবাদ ও মহাদান এ ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে
উপজেলাটি গঠিত। তন্মধ্যে সাতপোয়া, পোগলদিঘা, ভাটারা ও কামরাবাদ ইউনিয়নে ব্যাপক হারে সরিষার
আবাদ হয়। বিশেষ করে সাতপোয়া ও কামরাবাদ ইউনিয়ন সরিষার আবাদের জন্য প্রসিদ্ধ। উপজেলা কৃষি
কর্মকর্তা অনুপ সিংহ জানান, যদি আবহাওয়া ভালো থাকে আর কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দেয়, তাহলেএবছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।