1. news@www.dailyjamalpursangbad24.com : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.dailyjamalpursangbad24.com : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.dailyjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪ :
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
নরসিংদীর রায়পুরায় ইউএনও, এসিল্যান্ড ও আনসারকে লক্ষ্য করে গুলি। হরিলুটের বাতাস মধুপুরে মিলছে না শিশু সুরক্ষা টিকা হতাশায় শিশুর অভিভাবক  ভালুকায় যাতায়াতের রাস্তায় পতিবন্ধকতার অভিযোগ  চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে কঠোর পদক্ষেপ নিন : সরকারকে বাংলাদেশ ন্যাপ দোয়ারাবাজারে হতদরিদ্রদের নাঝে সেনাবাহিনীর শীতবস্ত্র বিতরণ ছাতকের সাবেক ছাত্রদল সভাপতি নুনু’’র’’ সাথে যুক্তরাজ্যে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় মনোহর আলী নূরানী কিন্ডারগার্টেন এর সবক প্রদান ও নবীন বরন অনুষ্ঠান সম্পন্ন সরিষাবাড়িতে বয়ড়া বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার সাথে মারামারি আহত ৫ ঈশ্বরদীতে রাজশাহী বিভাগীয় প্রেসক্লাব এর সদস্য মুশফিকুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলা; থানায় অভিযোগ দায়ের! প্রশাসন নীরব

মেলান্দহে এ.সি.এস উচ্চ বিদ্যালয় : উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, ভূয়া নিয়োগ ও জাল সনদে চাকরির অভিযোগ

দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩০২ বার পড়া হয়েছে

 

 

জামালপুর প্রতিনিধি :

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নে চর সগুনা এ.সি.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুবাশ্বির হাসান বিরুদ্ধে স্কুল ভবন, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ, ভূয়া নিয়োগ ও জাল সনদে চাকরির অভিযোগ উঠেছে।

এ নিয়ে গত (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মনোয়ার হোসেন মনু।

জাল সনদে চাকরি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মঞ্জরুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক এছাড়াও অফিস সহকারী (কেরানী) মোঃ রাসেল মিয়ার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এককভাবে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে ধর্মীয় শিক্ষক (মৌলভী) মোঃ আব্বাস আলীর নিয়োগের সময় বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে ৫ লাখ টাকা নিলেও স্কুলে জমা সাড়ে তিন লাখ। লাইব্রেরিয়ান পদে মোছাঃ লুৎফার নিয়োগের সময় ৭ লাখ টাকা নেওয়া হলেও স্কুলে জমা মাত্র ২ লাখ।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চর সগুনা এ.সি.এস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের জন্য জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্দকৃত ৩৩ লাখ টাকার কাজের মধ্যে ৭লাখ টাকা নাম মাল খরচ করেন বাকী টাকা সেই সময় থাকা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোবাশ্বির হাসান মিলে ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। স্কুলের বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণের জন্য ৬লাখ টাকার মধ্যে মাত্র দেড় লাখ টাকা খরচ করে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছে প্রধান শিক্ষক ও সাবেক সভাপতি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদকের দলীয় পদে থেকে সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজশে বিভিন্ন উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

সহকারী শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলাম জাল সনদে চাকরি করছেন। প্রধান শিক্ষকের সহযোহিতায় বি.এড সনদ জাল থাকা সত্তেও চাকরি করছেন। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দলীয় পদেও রয়েছেন। এ.সি.এস. উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কেরানী মোঃ রাসেল রানার নিয়োগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোবাশ্বির হাসান মিলে এককভাবে নিয়োগ প্রদান করেছে। কেরানী পদে অন্য কোনো প্রার্থীকে এ পদে আবেদন করতে দেয়নি। বিদ্যালয়ের কেরানী ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তারা এই নিয়োগ দিয়েছে। গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের নিয়োগ বাণিজ্য, উন্নয়ন বরাদ্দ আত্মসাৎ করাসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে।

অভিযোগকারী মনোয়ার হোসেন মনু বলেন, এতোদিন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রধান শিক্ষক, সাবেক সভাপতি নিয়োগ বাণিজ্য, উন্নয়ন বরাদ্দ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। এতোদিন প্রতিবাদ করতে পারি নাই।

এ.সি.এস. উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী (কেরানী) মোঃ রাসেল রানা বলেন, আমার নিয়োগের সময় দুইবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৯জন প্রার্থী আবেদন করেছিল। তারমধ্যে ৬জন পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে। আপনারা ভালোভাবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখতে পারেন।

জাল সনদে চাকরির বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, আমার সকল সনদ ঠিক আছে। আমাকে হয়রানি করার জন্য এ অভিযোগ দিয়েছে। আপনারা অনলাইনে সার্চ দিলেই আমার সনদের সত্যতা পাবেন।

এ.সি.এস. উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মোঃ মোবাশ্বির হাসানের মোবাইলে কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

অভিযোগের ব্যাপারে এ.সি.এস. উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। স্কুলের ভবন বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখানে আমি কিভাবে টাকা আত্মসাৎ করবো? উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ-সব অভিযোগ করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আজাদুর রহমান ভূইয়া বলেন, একটা অভিযোগ ইউএনও স্যারের দিয়েছে। আমি এখনো পাইনি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো আমি।

মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস. এম. আলমগীর বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি খোঁজ খবর নেওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট