কামরুল হাসান:
আমার ইয়ের সাথে দেড় যুগ আগে পরিচয়। একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক দশক এক
সাথে কাজ করেছি। সে সুবাদে তার সাথে ঘনিষ্ঠতা থেকে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আমার সাথে ব্যক্তিগত
সমস্যার পাশাপাশি পারিবারিকসহ বিভিন্ন সমস্যা শেয়ার করতো। সাধ্যমতো সমাধানের চেষ্টাও করতাম। এমন
কি সে আমাকে তার নিজের লোক বলেই প্রকাশ করতো। সে মোতাবেক আমার ওপর অধিকারও ফলাতো।
আমিও তাকে ছোট বউ বলেই ডাকতাম ও পরিচয় দিতাম। শুধু তাই না, তার মাকে শ^াশুমা বলেও ডাকতাম।
যা উভয় পরিবারের লোকজন জানতো। অবশ্য সে নিজেকে অবিবাহিত বলেই পরিচয় দিয়ে থাকে। পরে
জানলাম ইতোপূর্বে তার দুটি বিয়ে হয়েছিল। প্রথম স্বামীর ঘরে থাকতেই ভাসুরের ছেলেকে নিয়ে পালিয়ে গিয়ে
দ্বিতীয় বিয়েটা করে সে। অথচ সে বিয়ে বেশি দিন টিকেনি। তার পর এক সেলুন কর্মী ছাড়াও বান্ধবীর
পাড়াতো ভাইয়ের সাথে অভিসারকালে হাতে নাতে ধরাও পড়ে। অতি সহজেই মানুষ পটানোর অসাধারণ গুণ
আছে তার। তাই একই সময়ে সে একাধিক লোকের সাথে সম্পর্ক রেখে চলে। তার কথা, আচরণ, ব্যবহার ও
অভিনয় অন্য যে কারোর মন জয় করতে যথেষ্ট। এ ছাড়া সু-কৌশলে টাকাÑপয়সা ও উপহার সামগ্রী আদায়
করতে বড়ই ওস্তাদ সে। এক কথায় সে বড়ই শেয়ানা। স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলেই সম্পর্কের মানুষটিকে মূহুর্তেই
বেকায়দায় ফেলতে দ্বিধা করে না। প্রথম প্রথম এ সব বিশ্বাস করতাম না। যাচাই করতে গিয়েই তার স্বরূপ
উন্মোচিত হয়ে পড়ে। অর্থাৎ তার রূপ ভিন্ন ভিন্নহলেও স্বরূপ একই। সে যাত্রায় অন্যদের সহযোগিতায় অল্পের
জন্য বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে ফিরি। খোঁজ নিয়ে দেখলাম অনেকের সাথেই এমনটা করেছে।
কিছুদিন আগে তাকে নিয়ে একটি স্টরি লিখি। তা দেখে রীতিমত ক্ষেপে যায় সে। আমাকে অকথ্য ভাষায়
আবুল-তাবুল বকা-ঝকাসহ নানা হুমকিও দেয়। কারন-এতে নাকি তার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। আপন জনদের মুখ
থেকে বেরিয়ে আসে তার মায়েরও নাকি তিন-চারটি বিয়ে হয়েছিল সে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে সমালোচকদের
মুখে মুখে ওড়ছেÑ‘গাই গুণে ঘি আর মাও গুণে ঝি।’ এ সব ঘটনায় এলাকাজুড়ে এখন খিয়ে খিয়ে অবস্থা।
(লেখক: সাংবাদিক, ফিচার ও কলাম লেখক)