জামালপুর প্রতিনিধি :
সরিষাবাড়ীতে দৌলতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের রাস্তার কাজে সাংবাদিকের মোবাইল ছিনতাইকারী খসরু তালুকদারের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবী ও গাছ ব্যবসায়ী আব্দল জলিলকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ৪ ডিসেম্বর বেলা ২ ঘটিকার সময় আওনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের আলোকে জানা যায়, দৌলতপুর গ্রাম নিবাসী কথিত বিএনপি নেতা নুরুজ্জামান তালুকদার বাবু’র ছোট ভাই খসরু তালুকদার পিতা- মৃত নুরনবী তালুকদার লেবু ও রিফাত পিতা- রফিকুল ইসলাম স্বপন মাস্টার বিদ্যালয়ের রাস্তার কাজের গাছ কাটায় গাছ ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের নিকট ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আব্দুল জলিল চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে খসরু তালুকদার ও রিফাত গাছ ব্যবসায়ী জলিলকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে জলিলের ডাক-চিৎকারে বিষয়টি রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের নজরে আসে, শ্রমিকদের নজর ফাঁকি দিয়ে চাঁদাবাজ রিফাত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও খসরু তালুকদারকে আটক করে ফেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা।
ঘটনাটি জানাজানি হলে দ্রুত সময়ের মধ্যেই চাঁদাবাজকে দেখতে শত শত লোকের ভিড় জমতে থাকে। এক পর্যায়ে খসরু তালুকদারের বড় ভাই কাউসার তালুকদার কায়জা শত শত লোকের সামনে খসরুকে জুতোপেটা করে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে খসরকে মুক্ত করে নিয়েযায়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের নানা কথা ঘোরপাক খাচ্ছে।
এ বিষয়ে গাছ ব্যবসায়ী আব্দুল জলিলের সাথে কথা হলে তিনি জানান, খসরু তালুকদার ও রিফাত আমার কাছে এসে ১ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। আমি কেন টাকা দিবো, এমন প্রশ্ন করার সাথে সাথে খসরু ও রিফাত কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকে। আমি আহত হয়ে মাটিতে পড়ে যাই। পরে আমার ডাক-চিৎকারে অন্য শ্রমিকেরা এসে আমাকে উদ্ধার করে আমার জীবন রক্ষা করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ- ন্যায় বিচার চাই।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আওনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সুরুজ মেম্বারের মুঠোফোনে বারবার কল করলেও তাতে তিনি সাঁড়া দেননি।