জামালপুর প্রতিনিধি
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগম বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনীর আওতায় সকল পর্যায়ের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণসহ তাদের উন্নয়নের মূলস্রোতধারায় নিয়ে আসার জন্য নানামূখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে সরকার। অটিস্টিক শিশুদের সৃজনশীল কাজগুলো জনসন্মুখে উপস্থাপন করা হবে। তিনি আজ আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সর্বোত্তম সুরক্ষায় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জেলা প্রশাসক মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন আমরা আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী সকলের সার্বিক সহায়তা প্রদানে কাজ করছি। আমরা যখন প্রতিবন্ধীতা হ্রাস করার জন্য বহুমাত্রিক কাজ করছি তখন দেশে সড়ক দূর্ঘটনা থেকে শুরু করে হানাহানি, মারামারি করে পঙ্গুত্বের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সম্মিলিতভাবে সকল পর্যায়ের দূর্ঘটনা রোধ করতেই হবে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান চত্বর (ফৌজদারি মোড়) থেকে শোভাযাত্রা বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রোকোনুল ইসলাম। এতে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুছ, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাব্বির আহম্মেদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইলিয়াস মল্লিক, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা ইশরাকী ফাতেমা, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, সুইড প্রতিবন্ধী সেবা সুরক্ষা কেন্দ্রের নির্বাহী সম্পাদক অজয় পাল, সূর্য তরুন সেবা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খোরশেদ আলম প্রমুখ।
পরে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়। সভা সঞ্চালনা করেন শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা ফারুক মিয়া। এবারে দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় স্থির করা হয় ‘অন্তবর্তীমূলক টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ বিকশিত নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে প্রতিবন্ধী জনগণ’।