সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি,
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এঁওচিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পাহাড়তলী আলী নগরে পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আকমল মিয়ার ছেলে মিন্টু সওদাগর,সোনামিয়ার ছেলে হাশেম সওদাগর ও হাশেম সওদাগরের স্ত্রী তচলিমা আক্তারের বিরুদ্ধে।পানি নিস্কাশনের পথ বন্ধ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাতকানিয়া থানার অফিসার ইঞ্চার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন একই এলাকার আলি আহমদের ছেলে আব্দুল হামিদ ও আমিরুজ্জামানের ছেলে আব্দুল হাকিম।
সরেজমিন গিয়ে ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৮ বৎসর পূর্বে যৌথভাবে বাড়ীর পানি চলাচলের জন্য বাড়ীর সামনে রাস্তার মাটির নীচ দিয়া পানি চলাচলের
জন্য ড্রেইন নির্মাণ করা হয়।ড্রেইন দ্বারা ০৬ পরিবারের বাড়ীর পানি
চলাচল করত। বিগত ০৬ মাস পূর্বে একই এলাকার মৃত কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ কায়সার (২৯), চান মিয়ার ছেলে আহামদ কবির (৫০) ও আবদুল হাকিম তাদের বাড়ীর পানি চলাচলের জন্য অভিযোগকারীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে পানি চলাচলের ড্রেইনে সংযোগ দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পানি চলাচলের ড্রেইনের মধ্যে কোন প্রকার সংশ্লিষ্টতা নাই। তারপরও অভিযুক্তরা
উল্লেখিত ব্যক্তিদেরকে ড্রেইনের সংযোগ দিতে অভিযোগকারীদেরকে বাধা প্রদান করে ।
অতঃপর অভিযোগকারীরা স্থানীয় চেয়ারম্যন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিকট
বিচার দেয়। এর প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধান করিয়া দেয়। এর ০১ সপ্তাহ পর
অভিযুক্তরা জোরপূর্বক ড্রেইনটি বন্দ করে দেওয়ার কারণে অভিযোগকারী ০৬ পরিবারের
বাড়ীর পানি চলাচল বন্ধ হইয়া যায় এবং পানি চলাচলের ড্রেইনের পানি শহীদ জামাল সড়কের উপর দিয়া চলাচল করিতেছে । যাহার ফলে জনসাধারনে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ
রাস্তাটির মধ্যে গর্ত হইয়া গিয়েছে এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগকারীরা বিষয়টি বার বার সমাধান করার চেষ্টা করিলেও
অভিযুক্তরা অভিযোগকারীদের কাহারো কথা মান্য করিতেছেনা এবং অভিযোগকারীদেরকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি
ধমকি দিয়া আসছে বলে জানা যায়। অভিযোগকারীরা ঘটনার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় আইনী প্রতিকার পাওয়ার লক্ষ্যে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সাতকানিয়া থানার অফিসার ইঞ্চার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ।
উল্লেখ্য এর আগেও বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের লোকজন গিয়ে ড্রেন নির্মাণের কথা বলিলে এবং কাজ শুরু করিলে তচলিমা আক্তার গালিগালাজ করে কাজের লোকজনকে বাঁধা দেয় এবং কাজের সরঞ্জামাধী নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল হাশেমের কাছে জানতে চাইলে পানি চলাচলের ড্রেইন বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন এটি উনার খতিয়ানভুক্ত জায়গা বিধায় বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান।
এব্যাপারে সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল খানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি আভিযোগের আলোকে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।