নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন।
শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদের ক্লাব প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ইং, সকাল ১০টার সময় শ্রীমঙ্গল শহরের অভিজাত রেস্টুরেন্ট টিভ্যালীর হল রুমে জুম্মার নামাজের আগ মুহূর্ত এই প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ক্লাবের সকল ইউনিয়নের টিম প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহণ করেন।
এ সময় শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি তারেক মাহফুজের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী কাজী মহসিন আহমদ রাহীর সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান সংস্কার কমিশনের উপসচিব আব্দুল্লাহ জাফরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, তরুণ উদ্যোক্তা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী মুর্শেদ। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল যুব কল্যাণ পরিষদের সম্মানিত উপদেষ্টাগণ ও ক্লাবের সকল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন প্রমুখ।
যুব কল্যাণ পরিষদের সভাপতি তারেক মাহফুজ বলেন, যুব সমাজকে গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যুবসমাজ যেকোনো দেশের মূল্যবান সম্পদ। জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল। যুবসমাজের মেধা, সৃজনশীলতা, সাহস ও প্রতিভাকে কেন্দ্র করেই জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ হয়। ফলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সাহসিকতা, হিকমত ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভাপতি তারেক মাহফুজ আরও বলেন, সংগঠনের নির্দেশনা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আনুগত্যের মূর্ত প্রতীক হতে হবে। গণঅভ্যুত্থানের সুফল দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ছাত্র-জনতার পাশাপাশি যুব সমাজকে রাজপথে বলিষ্ঠ ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপসচিব আব্দুল্লাহ জাফরী বলেন, যুব সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ, ইনসাফপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব। আজকের যুব সমাজই জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যুগে যুগে যুবকরাই ইতিহাস সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের প্রচেষ্টায় স্রোতের গতিধারাও পরিবর্তন হয়ে যায়।
তিনি দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকটের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশ ও জাতি এক গভীর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় দেশ ও জাতির সত্যিকার মুক্তির জন্য যুবকদের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। অন্যথায় আমাদের মুক্তি মিলবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী মুর্শেদ বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস যুব সমাজের হাত ধরেই নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের যত বড় বড় অর্জন সেগুলোও যুব সমাজের পরিশ্রমের ফসল। হাজী শরীয়তুল্লাহ, শহীদ তিতুমীরের মতো প্রাণচঞ্চল যুবকদের হাতেই এসেছে আমাদের বড় বড় অর্জন। তাই জাতির এই ক্রান্তিকালে যুব সমাজকে ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই, বরং সত্যের পতাকা উড্ডয়ন ও আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে শপথ গ্রহণ করতে হবে বলে তিনি জানান। এ সময় জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তরুণ যুবক-ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।