আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার মালাউড়িতে মিনি পিকআপ ভ্যান ও বিনিময় বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিনিময় পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারকে গ্রেফতার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে মধুপুর পৌরসভার মালাউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভার সহ চারজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন,জামালপুর ইসলামপুরের মোহাম্মদপুর গ্রামের মুক্তার আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম (অবিজল) (২৮) ইসলামপুরের মোহাম্মদপুর গ্রামের আব্দুল শেখের ছেলে শাহজাহান(৪২), একই এলাকার মহলগিরি গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে সুজন(২৫) একই গ্রামের কাশেমের ছেলে আমজাদ(২৮)। এতে নিহত রবিউল ( অবিজলের) ভাই দুলুমিয়া বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার সুত্রধরে আজ শুক্রবার রাতে ঘাতক বিনিময় পরিবহনের ড্রাইভার নজরুল ইসলাম (৩৫) ও বড়ভাই হেলপার রশিদ(৪০) কে গ্রেফতার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমি ও মধুপুর থানার তদন্ত অফিসার রাসেল আহমেদ এর নেতৃত্বে ধনবাড়ী উপজেলার চাতুটিয়া গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার কৃত দুইজন চাতুটিয়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে।
মধুপুর থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মালাউড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর ১৯ (নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ধনবাড়ি হইতে ঢাকাগামী বিনিময় বাস ও ঢাকা হইতে মধুপুরগামী মিনি পিকআপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপের ড্রাইভার ও হেলপার ঘটনাস্থলে নিহত হয় ও পিকআপের থাকা দুজন বিক্রেতা গুরুতর আহত অবস্থায় মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে। নিহত দুইজন সবজির ব্যবসা করতো। ঢাকা থেকে সবজি বিক্রি করে জামালপুরের ইসলামপুরে বাড়ি ফিরছিলো।
সহকারী পুলিশ সুপার মধুপুর সার্কেল ফারহানা আফরোজ জেমি বলেন, মধুপুর পৌরসভার মালাউরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঢাকাগামী বিনিময় বাসের সাথে মধুপুরগামী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে পিকআপের চালক ও হেলপার ঘটনাস্থলে নিহত হয়। পরে গুরুত্বর আহতবস্থায় পিকআপে থাকা দুইজনকে উদ্ধার করে মধুপুর হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তাদের মৃত্যু হয়।
এঘটনায় মধুপুর থানায় মামলা হয়। মামলার পরহতেই তাদেকে গ্রেফতার করার তৎপরতা চালাই।তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আজ রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। পরে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।