1. news@www.dailyjamalpursangbad24.com : উৎসবের আলো : উৎসবের আলো
  2. info@www.dailyjamalpursangbad24.com : দৈনিক উৎসবের আলো : দৈনিক উৎসবের আলো দৈনিক উৎসবের আলো
  3. info@www.dailyjamalpursangbad24.com : দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪ :
শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
পোরশায় ৬ ইউনিয়নে বিট ও কমিউিনিটি পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত মধুপুর  চাকন্ডতে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত  ছাতক উপজেলার জাউয়াবাজার ইউনিয়নে বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  পোগলদিঘা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের ৯ নং ওয়ার্ড শাখার সদস্য পরিচিতি সভা নরসিংদী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে ১টি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার আটক ১ কান্দাপাড়া সাঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের ১০০ বছর পূর্তি লক্ষে মতবিনিময় সভা সিরাজগঞ্জে হোমিপ্যাথিক দিন ব্যাপী রেপার্টরী কর্মশালা অনুষ্ঠিত দোয়ারাবাজারে তৌহিদি জনতার হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়ি ও মন্দির পরিদর্শন নরসিংদীতে ব্ল্যাকমেইলের ফাঁদ,টর্চারসেল মধুচক্রের প্রধান সহ গ্রেফতার ৪। ডোমারে সাবেক রেলমন্ত্রীর এপিএস ১০০বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজন আটক

মেজর জলিলকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করুন : গোলাম মোস্তফা

দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪
  • প্রকাশিত: বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১০ বার পড়া হয়েছে

গোলাম মোস্তফা নিজস্ব প্রতিবেদক 

‘মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত করার দাবী’ জানিয়ে কভয়েস অব কনসাস সিটিজেন (ভিসিসি) চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরপরই ভারতীয় আগ্রাসন ও লুটপাটের বিরোধীতা করার কারণেই মেজর এমএ জলিলের মত একজন দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে তৎকালীন সরকার যথাযথ মর্যাদা এবং খেতাব না দিয়ে বঞ্চিত করেছেন। দু:খজনক হলেও সত্য যে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দিই ছিলেন সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের বীর সেনানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিল। আজ সময় এসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই সেক্টর কমান্ডারকে তার যথাযথ মর্যাদা প্রদান ও ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভুষিত করার। অর্ন্তরবর্তী কালিন সরকার দ্রুত এই দায়িত্ব পালন করে জাতির ঝৃণ শোধ করবেন বলে জাতি আশা করে।’

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মহান মুক্তিযদ্ধের সেক্টর কমান্ডর, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিরোধী দল জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মেজর এম এ জলিলের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আধিপাত্য ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মেজর (অব) জলিল ছিলেন অকুতোভয়। দেশের প্রতি তার মমত্ববোধ ছিলো অসাধারণ। মেজর জলিলের দেশপ্রেম আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। ভারতীয় মিত্রবাহিনীর লুটতরাজ এবং যুদ্ধের অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে যাওয়ার বিরোধিতার কারণে, চক্রান্তের শিকার হয়ে ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর তিনি যশোরে মুক্তিবাহিনীর লোকের হাতে গ্রেফতার হন। ১৯৭২ সালের ৭ জুলাই মুক্তি লাভ করেন।’

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘মেজর এম এ জলিল, বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত একটি নাম, একটি ইতিহাস। শোষন, বঞ্চনা, নিপীড়ন থেকে বাংলার মানুষকে মুক্ত করতে যিনি অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন তদানীন্তন পাক হানাদার বাহিনীর বিপক্ষে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তৎকালীন শাসক গোষ্ঠী এবং তাদের প্রতিবেশী দোসরদের নানা অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার কন্ঠ ছিলেন মেজর জলিল। দেশ ও জনমানুষের মুক্তির জন্য নোঙ্গর ফেলেছেন তিনি নানান ঘাটে। ’

তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ন অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সেক্টর কামান্ডারসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানসূচক বীর উত্তম, বীর বিক্রম উপাধি দেওয়া হলেও সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করা মেজর জলিলকে বঞ্চিত করা হয়। মূলত ভারতীয়দের আগ্রাসন, লুন্ঠন এবং তৎকালীন সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কারনেই মেজর জলিলকে তার প্রাপ্য উপাধি থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, মুক্তিযুদ্ধোত্তর বিরোধীদলীয় স্রোতধারার প্রাণপুরুষ মেজর জলিল বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে নতুন ধারার বরপুত্র। বাংলাদেশের আজকের প্রেক্ষাপটে মেজর জলিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। একসময় যেকোনো দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তর্জনি উঁচিয়ে ‘খামোশ’ বলতেন মওলানা ভাসানী। স্বাধীনতার স্বপ্নভঙ্গের প্রেক্ষাপটে ‘রুখো’ বলে আধিপত্যবাদের পথ রোধ করে দাঁড়িয়েছিলেন মেজর জলিল। তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারে নতুন প্রজন্ম জাগুক এই প্রত্যাশা করছি।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
© দৈনিক জামালপুর সংবাদ ২৪
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট