মোঃরিমন চৌধুরী, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে পৃথক ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় মোছাঃ বিউটি আক্তার (২১) কে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। অপরদিকে আত্মহত্যা চেষ্টায় ৪ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রশিদুল ইসলাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
নীলফামারীর ডোমারে যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রেজওয়ান কবির নাসির (২৯) বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুক্তিরহাট সাতঘরিতা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ মোছাঃ বিউটি আক্তার (২১) উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের বানিয়া পাড়ার আজিমুল ইসলামের কন্যা।
নিহত বিউটি আক্তারের স্বামী নাসির নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের মুক্তিরহাট সাতঘরিয়া গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
বিউটি আক্তারের বড় ভাই মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে আমার বোনের বিয়ে হয়। বেলাল হোসেনের ছেলে রেজওয়ান কবির নাসিরের সাথে। তাদের একটি তিন বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিবাহের পর থেকে আমার বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও আমার বোনের স্বামী একলক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য প্রায় সময়ই শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। আমার বোন তার সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের নির্যাতন সহ্য করে আসছে। গতকাল রাতে আবারও যৌতুকের টাকার জন্য গালিগালাজ সহ তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতনের এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বামী রেজওয়ান কবির নাসির শয়নরত অবস্থায় মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ঘটনাটিকে তারা অন্যদিকে প্রভাহিত করার জন্য পরে আমার বোনের লাশ তারা ওরনা দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এবং আমাদের খবর দেয়, আমার বোন আত্মহত্যা করেছে।
এ ঘটনায় বিউটি আক্তারের বড় ভাই মো. শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে ডোমার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এদিকে উপজেলার ডোমার সদর ইউনিয়নের বড় রাউতা মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) পারিবারিক কলহের কারণে রশিদুল ইসলাম (৬০) নামে এক বৃদ্ধা ঘাসে দেওয়া কীটনাশক পানে আআত্মহত্যার চেষ্টা করলে তার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুবরন করেন তিনি।
নিহত রশিদুল ইসলাম ডোমার উপজেলার বড় রাউতা মাদ্রাসা পাড়া গ্রামের মৃত নম মামুদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক ছিলেন।
ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি। বিউটির স্বামীকে আমরা নজরবন্দীতে রেখেছি। এবং রশিদুল ইসলামের আত্মহত্যার ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।