গোলাম মোস্তফা নিজস্ব প্রতিবেদক
স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে সম্মান করতে না পারা জাতি হিসাবে আমাদের দৈনতা বলে মন্তব্য করে ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন (ভিসিসি) চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্মাতা মওলানা ভাসানী, অন্য কেউ নয়। নকল নির্মাতারা চারদিক থেকে দেশকে ঘিরে ধরেছে। আমাদের সাবধান থাকতে হবে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে মওলানা ভাসানীকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে জাতি কাউকে ক্ষমা করবে না। মওলানা ভাসানীর দেখানো পথে অগ্রসর হতে হবে। তিনি জাতিকে নির্মাণ করেছেন। তাই তাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। তাকে সম্মান করা না হলে অন্যায় হবে। ’
সোমবার (১৮ নভেম্বর) গুমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বাণী প্রদান না করা অত্যন্ত দু:খজনক। জাতির এমন এক ক্রান্তিলগ্নে প্রধান উপদেষ্টার সহযোগি উপদেষ্টারাও তাদের দায়িত্ব পালন করেন নাই। প্রধানউপদেষ্টাকেও এই বিষয়ে অবগত ও অনুপ্রেরনা যোগাননি তারা, যা অত্যান্ত লজ্জাজনক। ভাসানীকে যদি আমরা সম্মান না দিতে পারি, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের যথাযথ সম্মান দেয়া হবে না। মনে রাখতে হবে, ইতিহাস ভুলে যাওয়া এবং ইতিহাস মুছে ফেলার কোনটারই জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। ’
গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আরো বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর মতো আর মানুষ এই অঞ্চলে আর জন্মাবে কিনা জানিনা। সারা জীবন তিনি মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ভাসানীসহ যারাই দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে, তাদের কারোরোই যথাযথ মর্যাদা হয়নি। শুধু কথা ও যা কিছু তা বলতে পারলেই স্বাধীনতা নয়। মানুষের স্বাধীনতা হচ্ছে মানুষের মর্যাদাবোধ, মানবিকবোধ ভালবাসা। মানুষের অন্তরে যদি শ্রদ্ধা ভালবাসা থাকতো তাহলে ভাসানীর এখানে দেহ ত্যাগ করা স্বার্থক হতো।’
তিনি বলেন, ‘উপমহাদেশের কিংবদন্তি রাজনৈতিক নেতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর স্বপ্ন, কাজ ও স্মৃতিচিহ্ন বিগত সরকারগুলোর ‘হীনমন্যতার’ কারণে অবহেলার স্বীকার হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বর্তমান অর্ন্তবর্তিকালীন সরকারও সেই একই পথ অনুস্মরণ করছে। বর্তমান সরকারও যদি অতিতের ধারাবাহিকতায় মওলানা ভাসানীর প্রতি অবহেলাই করে থাকেন তাহলে পরিবর্তনটা কোথায় হবে ? সংস্কার কি ভাবে হবে ?’
তিনি বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর প্রতি যথাযথ সম্মান যানাতে না পারার এই যে আমাদের দৈন্যতা, এখান থেকে আমরা যদি বের হয়ে আসতে পারি, যথাযথ সম্মান করতে পারি, মানুষের অভাবকে আমরা বুঝতে পারি, মানুষের কষ্টকে হৃদয় দিয়ে লালন করতে পারি, তাহলেই হবে মাওলানা ভাসানীর সার্থকতা। হুজুর মাওলানা ভাসানীর প্রতি সম্মান যানানোর যে দৈন্যতা শাসকগোষ্টির, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কারণ তিনিই বহুদলীয় রাজনীতির এবং গণমানুষের অধিকার কায়েমের রাজনৈতিক দরোজার নির্মাতা।’