স্টাফ রিপোর্টার।
সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকার দৌলতপুর, কুলপাল, স্থল, বাটিকামারী, পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা, কান্দারপাড়া গ্রামে বসবাসকারী সংখ্যালঘু সনাতনী হিন্দু ধর্মের ৫ শতাধিক পরিবারের লাশ পুড়ানোর কোন শশ্বানঘাট না থাকায় লাশ নিয়ে সনাতনী হিন্দুরা বিপাকে রয়েছেন বছরের পর বছর। স্বাধীনতার ৫২ বছরে জাতীয় পার্টি, বিএনপি, আওয়ামী লীগের স্থানীয় এমপি মন্ত্রীরা শশ্বানঘাট প্রতিষ্ঠা করে দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেও ৫২ বছরে কোন সরকারই সংখ্যালঘুদের এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেনি। এ নিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে রয়েছে হতাশা ও তীব্র ক্ষোভ। জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম সাহেব কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে অত্র এলাকায় একটি শশ্বানঘাট প্রতিষ্ঠা করার জন্য সনাতনীরা হিন্দুরা জোর দাবীও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী কবি ও সাংবাদিক প্রদীপ চন্দ্র মম জানান, এই এলাকায় সংখ্যালঘু সনাতনীদের কোন শশ্বানঘাট না থাকায় লাশ পুড়াতে তাদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। লাশ পুড়ানোর সুনির্দিষ্ট কোন জায়গা না থাকার কারণে লাশ পুড়ানোর সময় তাদেরকে নানা বাঁধা ও হুমকিরও সম্মুখীন হতে হয়। বিষয়টি হতাশাজনক, লজ্জাজনক ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। সেইসাথে তিনি এই এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য একটি শশ্বানঘাট প্রতিষ্ঠা করে দেবার জন্য জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।