নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ জালাল উদ্দিন।
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারে শহরে যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদল বর্ণাঢ্য র্যালী করেছে। শনিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪ইং, বিকেলে হাজার হাজার নেতাকর্মীর সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য র্যালী শোভাযাত্রাটি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষ করে পশ্চিম বাজার চৌরাস্তায় এসআর প্লাজার সম্মুখে গিয়ে এক আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
এ সময় জেলা শ্রমিক’দল সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফয়ছল আহমদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাবেক কেন্দীয় যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন উজ্জল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোক্তাদির রাজু। র্যালীতে উপস্থিত ছিলেন, যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল ও ছাত্রদল-সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার নেতাকর্মী।
উল্লেখ: ০৭ নভেম্বর। ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৭৫ সালের এই দিনে সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পালটে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পালটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতার মিলিত ঐক্যের বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাঙ্ক্ষিত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন স্বাধীনতার ঘোষক তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো ৭ নভেম্বরকে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসাবে পালন করে আসছে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে সরকারি ছুটি ছিল। আওয়ামী লীগ সরকার এ ছুটি বাতিল করে। আওয়ামী শাসনামলে দিবসটি স্বচ্ছন্দে উদযাপনও করতে পারেনি দলটি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব প্রভাবমুক্ত হয়ে শক্তিশালী সত্তা লাভ করে। গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে অগ্রগতির পথে এগিয়ে যায়। এই দিন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।