কামরুল হাসান:
‘সবার জীবনে প্রেম আসে, তাইতো সবাই ভালবাসে।’ কথায়
আছে- ‘ঘুমে মানেনা শ্মশান ঘাট, ক্ষুধায় মানেনা মুচির পান্তাভাত,আর
পিরিতে মানেনা জাত-বেজাত।’ সংগত কারনেই বলতে হয়, প্রীত মানেনা রীত। সে
সুবাদে রাজকন্যারই হলো জিত। এ রাজকন্যা(জোনাকী) জামালপুরের সরিষাবাড়ী
উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে। বছর
চারেক আগে স্থানীয় বাঁশবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন পার্শ্ববর্তী
ঝিংগারভিটা গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে যুবরাজের প্রেমে পড়ে। সে থেকেই
তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া চলে। এক পর্যায়ে তারা সংসারী হওয়ার উদ্যোগ নেয়।
তাই কয়েক মাস আগে রাজকন্যা বিয়ের দাবিতে যুবরাজের বাড়ি গিয়ে উঠে।
উভয়ের বয়স কম থাকায় অভিভাবকরা বুঝিয়ে রাজকন্যাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ওই
যে কথায় আছে প্রেম শাসন ও বারন কোনটাই মানেনা। তাই গত ৭নভেম্বর
বিকেলে রাজকন্যা ফের বিয়ের দাবিতে যুবরাজের বাড়ি গিয়ে উঠে। অভিভাবকরা
রাজি না থাকায় যুবরাজকে বাড়ি থেকে বাগিয়ে দিয়ে বাড়িতে তালা দিয়ে
তারাও উধাও হয়। বেচারী রাজকন্যা নিরুপায় হয়ে লাজ শরমের মাথা খেয়ে নাছুড়
বান্দার মতো বিয়ের এক দফা দাবি আদায়ে যুবরাজের বাড়িতেই অবস্থান করতে
থাকে। অবশেষে তিন দিনের মাথায় শনিবার বিকেলে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বয়স কম
থাকায় কাবিন ছাড়া আপাতত তাদের বিয়ে পড়ানো হয়। চিরদিন এই দুনিয়ায়
হয়েছে হায় প্রেমেরই জয়। তারা উভয়েই দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের
১ম বর্ষের শিক্ষার্থী।
কামরুল হাসান
মোবাইল: ০১৯১৪৭৩৫৮৪২
তারিখ: ৯ নভেম্বর ২০২৪