জামালপুর প্রতিনিধি :
রেলফ্যানিং বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেইসবুকে ট্রেনের খবরা-খবর জানার সহজ মাধ্যম। মূলত এই রেলফ্যানরা রেলওয়েকে ভালোবেসে তার সর্বশেষ খবর জনসাধারণের নিকট পৌছে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে। এইসব রেল ভক্তরা প্রায়শই তাদের আগ্রহকে অন্যান্য শখের সাথে একত্রিত করে, বিশেষ
করে ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি , রেডিও স্ক্যানিং , রেলওয়ে মডেলিং , রেলপথের ইতিহাস অধ্যয়ন করা এবং রেলস্টেশন এবং রোলিং স্টক সংরক্ষণ প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা। ট্রেন , রেলফ্যান এবং রেলরোড , রেলওয়ে ম্যাগাজিন , লোকোমোটিভ ম্যাগাজিন এবং রেলওয়ে গেজেট ইন্টারন্যাশনাল সহ রেলফ্যানিং এবং রেলওয়ে উৎসাহীদের জন্য নিবেদিত অনেক ম্যাগাজিন এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পিছিয়ে নেই এই রেল ভক্ত স্বেচ্ছাসেবীরা।
তেমনি একজন মফস্বল এলাকার ছেলে শিহাবের রেলফ্যানিং নিয়ে ডেইলি সানের পাঠকদের নিকট তুলে ধরা হলো।
ভারচুয়াল জগৎ এবং স্কুল কলেজের সবাই শিহাব উদ্দিন নামেই চিনে।তবে বাড়ির লোক সবাই আহাদ নামে ডাকে। শিহাব উদ্দিনের বাড়ী জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাটাবুগা গ্রামে। সরিষাবাড়ি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হয়েছে ২০২৩ সালে।
শিহাব উদ্দিন জানান, আসলে ছোট বেলা থেকেই ট্রেন আমার অনেক পছন্দের একটা জিনিস এবং ট্রেন নিয়ে আমি খুবই কৌতুহলি ছিলাম, তবে এই ভালোবাসা টা আগে ভারচুয়াল জগৎ এ প্রকাশ করতে পারি নাই কারণ আমার কাছে আগে মোবাইল ছিল না, ২০২০ সালে যখন আমার হাতে মোবাইল আসে তখন থেকে ফেইসবুক বিভিন্ন রেলফ্যান গ্রুপের সাথে আমি যুক্ত হই, ট্রেনের ছবি ভিডিও করতে আমার সবসময় ভালো লাগে, আমার সামনে দিয়ে ট্রেন যাবে তখন আমার মোবাইল টা কোনোভাবেই পকেটে থাকবে না, ছবি ও ভিডিও একটা কিছু হবেই।
তিনি আরও জানান, রেল ফ্যানিং এ আসলে অর্জন করার মতো তেমন কিছুই পাইনি কিছু মানুষের ভালোবাসা ছাড়া। তবে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন গ্রুপের ফটো ভিডিও কনটেস্টে পুরষ্কার পেয়েছি। তবে কি পেলাম না পেলাম সেটা মনে করি না, এটা করে আমি একটা মানসিক শান্তি পাই। কারণ আমার হাতে তোলা ছবি,ভিডিও এবং ট্রেনের আপডেট গুলো মানুষে দেখে তাদের ভালো লাগে এটাই আমার কাছে অন্যরকম ভালো লাগে।
প্রতিবন্ধকতার কথা বলতে গিয়ে শিহাব উদ্দিন বলেন, একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে আমাকে মোটামুটি সংগ্রাম করেই চলতে হয়। বিভিন্ন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে চলতে আমি অভ্যস্ত এবং পছন্দ করি। রেল ফ্যানিং এর একেকটা ছবি,ভিডিও এর পেছনের গল্পটা ক্যামেরার আড়ালেই থাকে সেটা কেউ দেখে না। সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো রেল ফ্যানিং এর প্লাটফর্মে যেমন ভালোবাসার, শুভাকাঙ্ক্ষী মানুষ রয়েছে তেমনি হিংসাত্মক মনোভাবের মানুষও রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্দিষ্ট কোনো সময় আমি রেল ফ্যানিং এ ব্যয় করি না, তবে পড়াশোনা এবং কাজের ফাকে অবসরে সময়ে আমি ট্রেনের পিছনে ছুটি। রেল লাইন, ট্রেন, স্টেশন এগুলো আমার পছন্দের এবং ভালো লাগার জায়গা, আমার ইচ্ছে আমি রেলওয়েতে কাজ করবো, দেশের রেলওয়ের উন্নয়নে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবো।