প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
একে একে চাকুরি হারাচ্ছেন গণআন্দোলনে সমর্থন করা সাংবাদিকরা । অস্বাভাবিক এমন ঘটনা ঘটছে ডিবিসি নিউজে। চ্যানেলটিতে এখনো কলকাঠি নাড়ছেন স্বৈরাচারের দোসররা। বিপ্লবের পর উল্টো কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন ছাত্র জনতার আন্দোলন সমর্থন করা সংবাদকর্মীরা। গতকাল শনিবার চাকুরি হারিয়েছেন ডিবিসি নিউজের প্রধান বার্তা সম্পাদক (সিএনই) তারিক মাহমুদ খান ( নঈম তারেক)। দুই সিনিয়র রিপোর্টার- কাওসারা চৌধুরী কুমু ও মাছুদুর রহমানের চাকুরিও গেছে। কোন কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই সরাসরি চাকুরিচ্যুত করা হয় তাদের। আর এ সিদ্ধান্তের পেছনে আছেন টেলিভিশনটির সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম ও এমডি শহীদুল আহসান। সংবাদকক্ষে এসব সাংবাদিকরাই আন্দোলনের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। এর আগে গত ১৯ শে অক্টোবর বিনা কারণে চাকরিচ্যুত করা হয় যুগ্ম বার্তা সম্পাদক নাদিম মাহমুদকে। ৫ আগস্টের গণঅভ্যত্থানের পর গণমাধ্যম থেকে স্বৈরাচারের কালো থাবা দূর করতে উদ্যেগী হন প্রকৃত সাংবাদিকরা। সে চেষ্টায় ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের তল্পিবাহক ডিবিসির সিইও মঞ্জুরুল ইসলামের অপসারণ চেয়েছিলেন এসব সাংবাদিকরা।
মালিকপক্ষ সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, সিইওর পদত্যাগ দাবিকারী কেইউ ডিবিসি নিউজে থাকতে পারবে না। তালিকা ধরে ধরে সবাইকে চাকরিচ্যুত করা হবে।
ডিবিসি নিউজের কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপের প্রতিবাদ রবিবার-( ৩ নভেম্বর,) জানিয়েছে বাংলাদেশ গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা।
এক বিবৃতিতে চাকুরিচ্যুত সাংবাদিকদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন সংস্থার সভাপতি, এহসানুল হক জসিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, সাংবাদিক জালালউদ্দিন বারী, আনোয়ার শাহাদাত টুটুল, সংগঠক এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, স্পিক বাংলাদেশের আহ্বায়ক, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা এডভোকেট আলী নাসের খান,।
এদিকে ডিবিসি নিউজে চাকুরিচ্যুতির ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় মানবাধিকার সমিতি। মানববন্ধনে অংশ নেন বাংলাদেশ গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও মানবাধিকার সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার,। সমিতির চেয়ারম্যান মো: মঞ্জু হোসেন ঈসা, রমিজ উদ্দীন রুমি, এনামুল হক কাফী, শাকিল আহমেদ, মিলন মল্লিক, মনির হোসেন প্রমুখ।