কামরুল হাসান:
কোন রাষ্ট্রের শাসক গোষ্ঠী যখন দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকে, তখন রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রের জনগণের
জন্য গ্রহণ যোগ্যতা হ্রাস পায়। এমনটাই মন্তব্য রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের। প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিগণও এই অভিমত
পোষণ করেন যে, ওই শাসক শ্রেণী রাষ্ট্রের কল্যাণের চেয়ে অকল্যাণই ডেকে আনে বেশি। ফশশ্রæতিতে
শাসক গোষ্ঠী পরিনত হয় শোষকে। তাই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রে জনরোষের কারনে চলতি বছর জুলাইআগস্টের কোটা বিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের জন্ম দেয়। এক পর্যায়ে সরকার পতনের এক
দফা দাবী আদায়ে সোচ্চার হয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ফলে যা হবার তাই হয়েছে। ৫ আগস্ট সরকার
পতনের পরক্ষণ থেকে দেশে শুরু হয় অনাকাঙ্খিত এক ভিন্ন ধারার প্রবাহ। যা এখানো প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে
চলমান। আর তা হলো- স্বার্থপরতার চর্চা। এ চর্চাটা নেই কোথায়? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য
করা হচ্ছে পদ ত্যাগে। ক্ষেত্র বিশেষে ছাড়ও দেয়া হচ্ছে ভিন্ন উপায়ে। টার্গেট করে বকেয়া/পাওনা
আদায়ের মত অবলম্বন করা হচ্ছে বর্গী/কাবুলীওয়ালাদের চেয়েও কঠোরতম নীতি। বিভিন্ন কারণ ও
অজুহাত দেখিয়ে আদায় করা হচ্ছে মোটা অঙ্কের চাঁদা/অনুদান। যেমন, গতকাল জামালপুরের
সরিষাবাড়ীতে ক্যান্সার রোগীকে চিকিৎসার নাম ভাঙিয়ে চাঁদা উঠানোর সময় জনতার হাতে তিন ছাত্র নেতা
আটক হয়। পরে তাদের পুলিশের সোপর্দ করা হয়। বর্তমান সরকার কোথাওবা দমন করলেও বেশির ভাগ
ঘটনাই অজানা থেকে যাচ্ছে। ফলে প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগিরা।
(লেখক: সাংবাদিক, ফিচার ও কলাম লেখক)।
কামরুল হাসান
মোবাইল: ০১৯১৪-৭৩৫৮৪২