কামরুল হাসান:
সাম্য শব্দের মানে হলো সমতা বা ভারসাম্য। বৈষম্য সাম্যের বৈসাদৃশ বা বিপরীতার্থক শব্দ। এক কথায় সাম্যের অভাব।
চলতি বছরের জুলাই-আগেস্টর বৈষম্য বিরুধী আন্দোলন ছিল যুগোপযোগী আন্দোলন। এতে কোন সন্দেহ নেই। এ আন্দেলনের সাথে জড়িতরা যে সাহসী ভূমিকা রেখেছে তারা কিন্তু জাতির নিকট প্রশংসার দাবীদার। আন্দোলন মানে বিশেষভাবে দোলা দেয়া। মানে নাড়াচাড়া করা। যাতে পূর্বের অবস্থার পরিবর্তন হয়। পূর্বের কি অবস্থার? পূর্বের রাজনৈতিক, সমাজ নৈতিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা ও কর্ম থেকে শুরু করে সকল দিকের পরিবর্তন। তাতে যদি কোন কল্যাণকর প্রভাব না পড়ে তাহলে সে আন্দোলনের লক্ষ্য ঠিক থাকবে না। যদিও আন্দোলনের প্রথম কথা ছিল- কোটা বৈষম্য। পরে কিন্তু আর সেটাতেই স্থির থাকেনি। এর ব্যাপ্তি প্রসারিত হয়ে বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়েছিল প্রবাহ ধারা। যার ফলে সরকারের ভিত উপড়ে পড়েছিল। এতো ত্যাগ তিতীক্ষার মাধ্যমে অর্জিত আন্দোলনের ফল যেন লক্ষ্যহীন না হয়। সেজন্য জড়িতদের সজাগ থাকতে হবে। এখনো কিন্তু বিভিন্ন স্তরে বৈষম্য রয়েই গেছে। এতে দ্বিমত নেই অনেকেরই। যেমন- দ্রব্য মূল্য, সেবা খাত, জ¦ালানী, পরিবহন, শিক্ষা ও ভূমিসহ বিভিন্ন খাতে কাঙ্খিত পরিবর্তনের ছোঁয়া এখানো তেমনটা লাগেনি। এখানো যেমন যেন ফাঁকি-ঝুঁকির কাজ চলছেই। যারা সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বে আছেন তাদের নিকট জাতি আরও কিছু বেশি আশা করে। জাতির কাঙ্খিত আশা যেন দুরাশায় পর্যবেশিত না হয়। এটাই সচেতন মহলের কাম্য।
(লেখক: সাংবাদিক, ফিচার ও কলাম লেখক)।