নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের বৃহৎ দৈনিক ১৭শ’ মে.টন ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা ফার্টিলাইজার কোং লিঃ (জেএফসিএল) -এ উৎপাদন বন্ধ একটি গভীর ষড়যন্ত্র। গ্যাস সংকটের অজুহাতে চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সচল কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ করে সরকার বিদেশ থেকে নিন্মমানের সার আমদানী করে সার কালোবাজারি একটি সিন্ডিকেটকে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক করে দিচ্ছে বলে সাম্প্রতিক একাধিক গণম্যাধমে কথা বলেছেন- জামালপুর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম। তিনি আরো বলেন- ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট আ’লীগ সরকার পতনের পর আমরা যমুনা সার কারখানায় সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছি। বর্তমানে যমুনা সার কারখানা চাঁদাবাজ মুক্ত। তিনি আরো বলেন- সরকার বিদেশ থেকে নিন্মমানের ১ টন ইউরিয়া সার ৯০ হাজার টাকায় আমদানী করে ২৫ হাজার টাকায় ডিলারদের মাঝে সরবরাহ করছে। সরকার প্রতি টন সারে ভূর্তকি দিচ্ছে ৬৫ হাজার টাকা। এটা শুভঙ্করের ফাঁকি। সরকারের এই ভূর্তকি নামক ধোঁকাবাজির খেলা বন্ধ করে দ্রুত সময়ের মধ্যে কারখানার উৎপাদন চালু করে জনমনে আস্থা অর্জনে সরকারের প্রতি জোর দাবীও জানান তিনি।
অনুসন্ধানে জানা যায়- স্থানীয় প্রভাবশালী দুর্নীতিবাজ আ’লীগ নেতাদের সেচ্ছাচারিতা, প্রতি বছর ওভারহোলিংয়ের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট, কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে দুর্নীতিবাজ নেতাদের অসৎ আচরণ, গ্যাস সংকটের অজুহাত, কারখানায় কর্মরত কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে মাসের পর মাস সচল কারখানাটির নিয়মিত উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার এক উর্ধ্বতন কর্মকতার সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত জানুয়ারী মাসে গ্যাস সংকটের কারণে কারখানার উৎপাদন বন্ধ হওয়ার আগে দৈনিক ১২শ’ মে.টন সার উৎপাদন হতো। তিনি আরো বলেন- কোন রকম নোটিস ছাড়াই গ্যাস সংকটের অজুহাতে বিসিআইসি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কারখানার নিয়মিত উৎপাদন বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে করে দীর্ঘ ৯ মাসে কারখানা কর্তৃপক্ষের লোকসান হয়েছে আনুমানিক ৬শ’ ৪৮ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ মসলেহ উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সাঁড়া দেননি।