স্টাফ রিপোর্টার \
জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার রেখিরপাড়ায় ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়েও জমি রেজিস্ট্রি না করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের মৃত বছির উদ্দিন আহাম্মদের পুত্র নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ওরফে নঈম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে তারই আপন ভাগ্নে জিয়াউর রাফি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিআরএস রেকর্ডে বছির উদ্দিন আহাম্মদ বিগত ২৮/১১/১৯৯০ইং তারিখে মেলান্দহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৮০৭৪ নং দলিল মূলে উপরোক্ত বিবাদী ও হারুনুর রশিদ গংদের নিকট হস্তান্তর করেন। অতঃপর হারুনুর রশিদের নিকট হতে গত ০৭/০৪/২০১৯ইং তারিখে মেলান্দহ সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে জিয়াউর রাফির মাতা জিন্নাত মহল বরাবর হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে ওই জমিতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে আজ পর্যন্ত বসবাস করে আসছে। বিআরএস রেকর্ড ২৩২নং খতিয়ানে বিআরএস ৫৬২ নং দাগে ৫৪ শতাংশ জমি রয়েছে।
আরো জানা যায়, বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে টাকা ঋণ নেওয়ায় নঈম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে ঋণ দাতারা মোকাদ্দমা করলে বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেন। একই সাথে ঋণের টাকা পরিশোধ করার কথাও বলেন। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য মামা নঈম জাহাঙ্গীর ভাগ্নে জিয়াউর রাফির বসতবাড়ি সংলগ্ন দলিলপ্রাপ্ত ভূমি ভাগ্নের নিকট বিক্রি করার কথা বলে। ভাগ্নে সরলমনে বিশ্বাস করে মামার অংশের ১৮ শতাংশ জমির মূল্য বাবদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এরপর মামা তার জমির অংশ ভাগ্নে জিয়াউর রাফিকে বুঝিয়ে দেয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে তিনি ভোগদখল করে আসছেন। এ দিকে দীর্ঘদিন প্রতিবাহিত হবার পর ভাগ্নে রাফি বিআরএস ২৩২নং খতিয়ানে বিআরএস ৫৬২নং দাগের ১৮ শতাংশ জমি মামা নঈম জাহাঙ্গীরকে রেজিষ্ট্রি করে দিতে বললে দেই-দিচ্ছি বলে টালবাহানা ও চালাক-চতুরি করে সময় অতিবাহিত করতে থাকে। এক পর্যায়ে নঈম জাহাঙ্গীরকে পারিবারিকভাবে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করলে জমা-খারিজ না থাকায় ভাগ্নে জিয়াউর রাফি বরাবর সাব-কওলা দলিল করে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান। পরে জমা-খারিজ পাওয়ার পর জমি রেজিস্ট্রি করে দিবে বলে প্রতিশ্র“তি দেন। এ অবস্থায় গত ২৮/০৮/২০২৪ইং তারিখে অনলাইন জমা খারিজও করা হয়। মামা নঈম জাহাঙ্গীর জমা খারিজ করে নেয়ার পর ওই জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতে বললে দেই-দিচ্ছি বলে আবারো সময় অতিবাহিত করতে থাকনে।
অপরদিকে তিনি জমির জমা-খারিজ করার পর গোপনে জমি অন্যত্র বিক্রি করার পাঁয়তারা শুরু করেন। এ কথা লোকমুখে প্রকাশ হয়ে পড়ে। মামা নঈম জাহাঙ্গীর তার ভাগ্নের নিকট হতে জমির ন্যায্য মূল্যের সর্বসাকুল্য টাকা গ্রহণ করার পরেও জমি রেজিষ্ট্রি করে না দিয়ে ভূমি অন্যত্র বিক্রি করে গোপনে রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
এদিকে ভাগ্নে জিয়াউর রাফির কাছ থেকে নেয়া জমির মূল্য ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে মামা নঈম জাহাঙ্গীর নতুন করে অন্যত্র বিক্রি করার পাঁয়তারা করতে থাকায় তিনি বিপাকে পড়ে যান। পরে বাধ্য হয়ে জিয়াউর রাফি জমিটি রেজিস্ট্রি পেতে আদালতের মাধ্যমে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।