সেলিম মাহবুব,সিলেট:
ছাতকে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে লিজকৃত জলমহাল থেকে জোরপূর্বক মৎস্য আহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। লিজ গ্রহীতার অভিযোগ, প্রতিপক্ষকে হয় জলমহালের ভাগ নতুবা চাঁদা না দিলে এভাবেই জোর পূর্বক জলমহাল থেকে মাছ শিকার করে নিয়ে যাবে তারা। এ ঘটনায় উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের কালারুকা-শংকরপুর গ্রামের মৃত আসকন্দর আলীর পুত্র লিজ গ্রহীতা নুরুল ইসলাম ছাতক সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ২৩ সেপ্টেম্বর দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকারী বিধি মোতাবেক ১৪৩০-১৪৩৫ বাংলা সাল পর্যন্ত মোট ৬ বছরের জন্য কালারুকা ইউনিয়নের কাকুড়াখাল (বদ্ধ) কালারুকা শংকরপুর মৎস্য সমবায় সমিতির নামে লিজ প্রদান করা হয় সরকারীভাবে। লিজ গ্রহনের পর থেকে জলমহালে দলকাটা স্থাপন সহ সংস্কার, সংরক্ষণ এবং মাছের পোনা অবমুক্তকরণ করা হয় সমিতির পক্ষ থেকে। শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখল করা কাকুড়াখাল জলমহাল স্থানীয় একটি চক্র জোরপূর্ব দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। দীর্ঘদিন ধরে দখলে নেয়ার চেষ্টার পাশাপাশি অনাধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক জলমহাল থেকে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে এ চক্র। সরকারীভাবে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, রিংজাল, বড়শিতে রাসায়নিক টুপ ব্যবহার করে তারা জলমহালের মাছ জোরপূর্বক লুট করে নিচ্ছে। এতে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে কালারুকা শংকরপুর মৎস্য সমবায় সমিতি। তাদের এসব অপকর্মে বাধা দিলে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি প্রদর্শন দাঙ্গা-হাঙ্গামার হুমকী দিয়ে থাকে তারা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জলমহালের ভাগ অথবা মাশোয়ারা তাদের না দিলে এভাবেই মাছ শিকার করবে তারা। এতে সমিতির ক্ষতিগ্রস্থ দরীদ্র মৎস্যজীবীরা অসহায় ও নিরুপায় হয়ে পড়েন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নিতে একই ইউনিয়নের কাজীহাটা গ্রামের আলী হোসেন, সাবু মিয়া সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দেন সমিতির সভাপতি নুরুল ইসলাম। একই সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মৎস্য কর্মকর্তা বরাবরেও অনুলিপি প্রদান করেন তিনি।##