মোঃআব্দুস ছালাম মীর নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
দুপচাঁচিয়া উপজেলার চামরুল ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ডিলার আব্দুর রহিম খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৬৭৪ বস্তা সরকারী চাল কার্ডধারী সদস্যদের মাঝে বিতরনের উদ্দেশ্য উত্তোলন করেন।চাল বিতরনের স্হান খুনিহারা বাজার সেখানে চাল না নামিয়ে নামানো হয় মোস্তফাপুর দঃপাড়া হাজী বাবলু বাড়ীতে এবং ১৭৫ বস্তা চাল স্হান মোস্তফাপুর পুরাতন লাইট হাউস ইব্রাহিম মেম্বারের বাড়ীতে রাখেন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে।
২৪ সেপ্টেম্বর রাত্রিতেই মাঠাই গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৪২) পিতা শাখাওয়াত, সরফদীপুর গ্রামের ছইমুদ্দীন ছেলে ফেরদৌস (৪০) ও জল্হরুল ইসলামের ছেলে কালাম(২৪) সরকারী সিল যুক্ত চটের বস্তা পরিবর্তন করে প্লাস্টিকের বস্তায় চাল পরিবর্তন করে তারা বাড়ীতে যান, পরের দিন ২৫ সেপ্টেম্বর অনুমানিক ৪ ঘটিকায় এসে ৭২ বস্তা চাল জিয়ানগরে নিয়ে যায়,পুনরায় আবার চাল নিতে এলে মেম্বার ইব্রাহিম হোসেন ও স্হানীয় জনতার সন্দেহ হলে তাদের আটক করে,স্হানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান আলী কে খবর দিলে চেয়ারম্যান উপজেলা প্রশাসন ও দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ অবহিত করলে দুপচাঁচিয়া থানা পুলিশ, সেনাবাহিনী ও দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ জান্নাত আরা তিথি এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ঘটনা স্হলে ছুটে আসেন। ঘটনা স্হলে উপস্হিত হয়ে ১৭৫ টি সরকারী সীল যুক্ত খালি বস্তা উদ্ধার করেন।সেই সাথে প্লাস্টিকের বস্তায় ৫৮ বস্তা চাল জব্দ করেন।এ সময় ডিলার আব্দুর রহিম , ভ্যানচালক শ্রমিক শফিকুল, কালাম ও ফেরদুসকে গ্রেফতার করা হয়,অপর দিকে চাল মজুদ করার অপরাধে জিয়ানগর আব্দুল কাদের এর চাতালে অভিযান পরিচালনা করে ১২ মেট্রিক টন সরকারী চাল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ মনিরুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।