নিজস্ব প্রতিবেদক
সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়ন যুবদলের সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম সুমন ও বিএনপি নেতা রমজান আলী বিপ্লবের পিতা- আব্দুল গফুর ময়না ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহ… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। স্ত্রী, ২ পুত্র, ২ মেয়ে, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য ভক্তবৃন্দ রেখে ২০ সেপ্টেম্বর শুকবার মধ্যরাত ১২:০৪ মিনিটে চরপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ীতে ইহলোক ত্যাগ করেন।
যুবদল নতা রবিউল ইসলাম সুমন জানান, পারিবারিক ও দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করে আমার পিতা মরহুম আব্দুল গফুর ময়নার লাশ বাদ-জুমা নামাজের পর দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মোতাবেক আমার পিতার লাশ পারিবারিক গোরস্তানে দাফন সু-সম্পন্ন করা হয়।
জানাজা অনুষ্ঠানে ময়নার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পোগলদিঘা ইউনিয়ন যুবদলের ৮ নং ওয়ার্ডের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ময়নাল হোসেন আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন- মরহুম ময়না ভাই আওয়ামী লীগের মুরাদের শাসনামলে বিএনপির মহাসচিব মরহুম ব্যারিষ্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের স্মরণ সভা শেষ করে বাড়ীতে ফেরার সময় তারাকান্দি চৌরাস্তা মোড়ে বিএনপির অনুষ্ঠানে যাওয়ার অপরাধে আ’লীগের একদল সন্ত্রাসী লোকজন এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে রাস্তায় ফেলে রাখে। আহত অবস্থায় আমি ময়না ভাইকে বাঁচানো জন্য তখনই সরিষাবাড়ী হাসপাতালে নিয়ে যাই। এই খবর জেনে আ’লীগের সন্ত্রাসীরা সরিষাবাড়ী হাসপাতালে এসে আমাকে ও ময়না ভাইকে আরেক দফা মারধর করে আমার ১২হাজার টাকা দামের ১টি মোবাইল ছিনতাই করে আমাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়। পরে আমরা জামালপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে জীবন বাঁচাই। তিনি আরো বলেন- এক সময় এই সরিষাবাড়ীতে বিএনপি করা এতো সহজ ছিল না। বিএনপি করলে নানা রকম নির্যাতন সইতে হতো। পরে তিনি মরহুমা ময়নার জীবনের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেয়ার জন্য উপস্থিত মুসল্লীদের প্রতি বিনীত প্রার্থনা করেন। ময়না ভাইয়ের জান্নাত নসিব হোক।