জামালপুর প্রতিনিধি
জামালপুর জেলার মেলান্দহে জমি রেজিস্ট্রি না করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন জজ আদালত। মামলার বাদি মেলান্দহের দহেরপাড়া গ্রামের মোনসেফ মাস্টারের পুত্র মো: হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে উপজেলার রেখিরপাড়া গ্রামের মৃত বছির উদ্দিন আহাম্মদের পুত্র মো: নুর উদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ওরফে নঈম জাহাঙ্গীরকে বিবাদী করে মামলা (নং-২১৩/২০২৪) দায়ের করলে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জমি রেজিস্ট্রি না করার জন্য মেলান্দহ সাব রেজিস্টারকে নিষেধ করেছেন।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, জামালপুর উপজেলা মেলান্দহ মৌজা রেখিরপাড়া মধ্যে বিআরএস খং নং-২৩২, জমা খারিজ খতিয়ান নং-৫৯৭, বিআরএস দাগ নং-৫৬২, এতে মোট জমি ৫৪ শতাংশের কাতে ১৮ শতাংশ ভূমির মালিক ও দখলকার ছিলেন বিবাদীপক্ষের পূর্ববর্তী বছির উদ্দিন আহাম্মদ। বিআরএস জরিপকালে ওই ভূমি বিবাদীর পূর্ববর্তীর নামে রেকর্ড হয়ে চুড়ান্ত প্রকাশ পায়। পরবর্তীতে নালিশী ভূমিসহ অপরাপর ভূমি ২৮/১১/১৯৯০ইং তারিখে ৮০৭৪ নং হেবাবিল এওয়াজ দলিল মূলে বিবাদী ও তার অপরাপর ভাইদেরকে বিআরএস মালিক বছির উদ্দিন আহাম্মদ রেজিষ্ট্রিকৃত হেবাবিল এওয়াজ দলিল মুলে হস্তান্তর করেন। নালিশী দাগে ১নং বিবাদী ১৮ শতাংশ ভূমি ঘরোয়া বণ্টনমুলে প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখল করে। এ অবস্থায় ১নং বিষাদীর সাথে বাদীপক্ষের যথেষ্ট সম্পর্ক ভাল থাকায় এবং টাকা পয়সা চেক লেনদেন হওয়ায় এবং একে অপরের যাতায়াতের মাধ্যমে সম্পর্ক আরো গভীর হর। এ অবস্থায় ১নং বিবাদী তার স্বত্ব দখলীয় নিম্ন তফসিল বর্ণিত নালিশী ভূমি বিক্রয় করার প্রস্তাব করলে বাদী ওই ভূমি খরিদ করতে ইচ্ছুক হওয়ায় ১৫ জানুয়ারি/২৪ ইং তারিখে ১নং বিবাদী বাদীর বসত বাড়িতে এসে কতিপয় সাক্ষীগণের মোকাবেলায় ভূমির সর্বোচ্চ বাজার মূল্য স্থির ক্রমে ৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং ভূমির দখলাদি বাদী বরাবর প্রদান করেন। কিন্তু ১নং বিবাদীর নামে জমা খারিজ না থাকায় নালিশী ভূমি বাদী বরাবর সাফকওলা দলিল করে দেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে ১নং বিবাদী অন লাইনে জমা খারিজ করার পর জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়ার ১নং বিবাদী গত ২৮/০৮/২০২৪ ইং তারিখে অনলাইনে জমা খারিজ করে নিয়েছে। এরপর জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে বললে ১নং বিবাদী দেই দিচ্ছি বলে টালবাহানা করে সময় অতিবাহিত করে আসছেন।
এদিকে সুচতুর বাদী নঈম জাহাঙ্গীর নালিশী ভূমি অন্যত্র বিক্রয় করার পায়তারা করার চেষ্টা করলে হারুন অর রশিদ বিপদে পড়ে যায়। কোন উপায় না দেখে সে আদাতলে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বিবাদী নঈম জাহাঙ্গীর ওই ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে গত ৩০/০৮/২৪ইং শুক্রবার সকাল ১০টার সময় ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে ভূমি থেকে উচ্ছেদ করতে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেয়। এ অবস্থায় হারুন অর রশিদ বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। জমিটি যেনো অন্য কোথায় বিক্রয় বা হস্তান্তর না করতে পারে সে জন্য আদালত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একই সাথে জমি কোন অবস্থাতেই যাতে বিক্রয় করতে না পারে এ বিষয়ে মেলান্দহ সাব রেজিস্ট্রার ও দলিল লেখক সমিতিকে অবহিত করেছেন আদালত।