নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের বৃহৎ দৈনিক ১৭ শ’ মে.টন ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানায় ট্রাকে সার লোডিংয়ের নামে ডিলারদের কাছ থেকে আগস্ট মাসে ১০ হাজার ৭শ’ ৫০ মে.টন বরাদ্দকৃত সারের বিপরীতে ১০ লক্ষাধিক টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত আগস্ট মাসে তারাকান্দি ট্রান্সর্পোট এজেন্সী মালিক সমিতি, তারাকান্দি ট্রাক মালিক সমিতি, তারাকান্দি ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন, কারাখানা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োজিত লোডিং ঠিকাদার ও লোডিং শ্রমিকদের বকশিসের নামে একজন সার ডিলারকে কম করে হলেও বস্তাপ্রতি ৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বতীকালীন সরকার রাষ্ট্র পারিচালনা করায় ডিলারা আর কোন চাঁদা দিতে না চাওয়ায় গত ৪দিন ধরে কারখানায় সার ডেলিভারি বন্ধ। হয়রানির শিকার ডিলার। কারখানার বিসিআইসি অনুমোদিত প্রায় ২ হাজার ৪শ’ ডিলার কৃষকদের মাঝে ২১ জেলায় সার সরবরাহ করে। কারখানা উংপাদনে থাকলে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হতো। বর্তমানে গ্যাস সংকটের কারণে মাসের পর মাস কারখানার উংপাদন বন্ধ। নন-পিক আওয়ার। সারের চাহিদা কম। কারখানায় আনলোড, লোড ও ডেলিভারিও কম। চাঁদাবাজদের ত্রাহিত্রাহি ভাব। দিন চলে না। ক্ষমতার পালাবদল। তবুও থেমে নেই চাঁদাবাজি।
আব্দুল মজিদ নামের এক সার ডিলারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গত আগস্ট মাসে ২লাখ ৭৫ হাজার বস্তা সার যমুনা কারখানা থেকে ডিলারদের উত্তোলন করতে শুধুমাত্র লেবার বকশিসের নামে গাডি প্রতি ৬৫০ টাকা হারে ৭লাখ ৪৪ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যমুনা সার কারখানায় ঘাটে ঘাটে নামে বেনামে চাঁদা দিতে দিতে আমরা ডিলারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তাই আমরা আর কোন চাঁদা দিতে পারবো না। চাঁদা না দিতে চাওয়ায় লোডিং শ্রমিকরা ট্রাকে সার লোড না করায় ৪দিন ধরে কারখানায় সার ডেলিভারি বন্ধ।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লেবারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, লোডিংয়ের নামে যত টাকা চাঁদাবাজি হয়েছে সে টাকা আমরা সাধারণ লেবাররা পাই নাই। চাঁদাবাজির টাকা লোতিং ঠিকাদার কর্তৃক নিয়োজিত লেবার সরদার ও ঠিকাদার আত্মসাৎ করেছে। আমরা শুধু নামমাত্র ১ টন সার ৯টাকা ৫০ পয়সা দরে ট্রাকে লোড করে দেই। যা অমানবিক।
এ ব্যাপারে যমুনা সার কারখানার উপ-ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্যিক) ও বিভাগীয় প্রধান (বাণিজ্যিক) আব্দুল হামীমের সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।